ক্যাম্পাস

সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থাকব

সাদ বিন কাদের চৌধুরী (সাদী)। আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ব্যানারে ছাত্রলীগের হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন। ছাত্রলীগের বিগত কমিটির উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।

Advertisement

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নির্বাচন পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায়। পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নানা আমিনুল করিম মজুমদার খোকা মিয়া ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মামা এনামুল করিম মজুমদার বাদল পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজ’র। জানান শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা। জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন।

সাক্ষাৎকারটির চুম্বকাংশ জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- জাগো নিউজ : দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো যুক্ত হওয়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ছাত্রলীগ থেকে লড়ছেন। অনুভূতি কেমন?

Advertisement

সাদ বিন কাদের : ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকে যখন ডাকসু সম্পর্কে শুনতাম তখন থেকে এর প্রতি একটা মোহ কাজ করতো। যখন শুনতাম অমুক ভাই ডাকসুর এত বড় নেতা, তখন নিজেও ডাকসুর নেতা হব বলে স্বপ্ন দেখতাম। আজ সে স্বপ্ন হাতে ধরা দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ব্যানারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আমাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত আনন্দের। যা আসলে ভাষায় প্রকাশের মতো নয়।

সাধারণ ছাত্রদের জন্য কাজ করব- এটা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের ও আনন্দের। আমি যখন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলাম, তখন শুধু ছাত্রলীগেরই ছিলাম। তখন আমি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কাজ করলেও সব শিক্ষার্থীর বৈধ ছাত্র প্রতিনিধি ছিলাম না। বর্তমানে সে সুযোগটা পেয়েছি। আশা করছি কাজে লাগাতে পারব। জাগো নিউজ : নির্বাচন কেমন হবে বলে আশা করছেন?

সাদ বিন কাদের : এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যে পরিবেশ, তা অত্যন্ত সুষ্ঠু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলসহ সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো নিজেদের মতো ক্যাম্পাসে ঘুরছে। তাদের মধ্যেও যে ভয়ভীতি ছিল তা ইতোমধ্যে কেটে গেছে। তারাও মনে করছেন, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে। আশাবাদী হয়েছেন। আমরাও আশা করছি, এ পরিবেশ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বজায় থাকবে। জাগো নিউজ : স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে কী বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন?

সাদ বিন কাদের : আপনি একটি বিষয় দেখবেন, আমাদের এখানে ফুলার রোড আছে, আছে উর্দু রোডও। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই ১৯৭১ সালে। এখান তো এসব নামে রোড থাকা উচিত নয়। এসব ভাষা শহীদদের নামে হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় বীরশ্রেষ্ঠদের নামে কোনো হল নাই। আমি চাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অন্যান্যদের মতো বীরশ্রেষ্ঠদের নামেও হল থাকবে।

Advertisement

এছাড়া দেখবেন, আমাদের দেশে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। আমি বিষয়টা নিয়ে শক্তভাবে কাজ করব। এটাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যায় না। এজন্য যদি আন্দোলনে যেতে হয়, আন্দোলনেও যাব। কারণ তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়েও জটিলতা আছে। এটি ডিজিটালাইজড করার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করব। এসব বিষয় আমাকে খুব ভাবিয়ে তোলে। এগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই।

অনেক অসচ্ছল শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। জীবন নির্বাহ তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাদের জন্য বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্থা করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় ডাকসু থেকে আমরা একটি ফান্ড গঠন করব। সেই ফান্ড থেকে তাদের বৃত্তি দেয়ার ব্যবস্থা করব।

জাগো নিউজ : মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে আমরা এখন বিভাজিত। আমরা একে-অন্যকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করছি। এমন পরিস্থিতিতে তরুণ প্রজন্মও বিভ্রান্ত। তাদেরকে এ ইস্যুতে এক ও অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আনতে কোনো ভূমিকা রাখবেন কিনা?

সাদ বিন কাদের : আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে কখনও দেখিনি যে, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা বা কাউকে নিয়ে এসে তাদের বীরত্বগাথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আমার ইচ্ছা আছে, জাতীয় দিবসগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের নিয়ে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। তারা তাদের বীরত্বগাথা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবেন। এতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশের প্রতি একটা আবেগ ও ভালোবাসা তৈরি হবে। তখন তাদের মধ্যে বিভাজনটা অনেকটা হ্রাস পাবে।

এছাড়া স্কুলপর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ওপর কোর্স বা গবেষণা যেন থাকে, সে বিষয়টা নিয়েও আমি কাজ করব। রুট লেভেল থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে যাতে সঠিক ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়া যায়, সে উদ্যোগ নেব।

জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা অভিযোগ-অনুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার পদক্ষেপ কী হবে?

সাদ বিন কাদের : হ্যাঁ, সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। প্রথমত, এ ধরনের কোর্সে ভর্তি পরীক্ষাটা অনেক সহজ হয়। প্রশ্নও অত্যন্ত সহজ হয়। এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মান সে অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ এখানে ভর্তির সুযোগ পান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেন। আবার তিনি যখন বাইরে গিয়ে নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন না, তখন এর প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অর্থাৎ নেতিবাচক এ প্রভাব যারা প্রথম বর্ষে ভর্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভর্তি হন তাদের ওপরও পড়ে।

এ কারণে আমি মনে করি, প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আনা যেতে পারে। অন্যদের ক্ষেত্রে এ সুযোগটা দেয়া উচিত নয়। বাইরে থেকে একজন সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি হয়ে অবাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দেবেন- এটা হতে পারে না।

জাগো নিউজ : ক্যান্টিনের খাবারের বিষয়ে কী বলবেন?

সাদ বিন কাদের : দেখুন, ৪০ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলোতে অবশ্যই মানসম্মত খাবার দেয়া সম্ভব। যদি সদিচ্ছা থাকে। আমি যদি একটি উদাহরণ দেই, আমার হলে বাইরের এক লোক ক্যাটারিংয়ের খাবার পরিবেশন করেন। তিনি প্রতিটি খাবারের মূল্য নেন ৬০ টাকা। ৬০ টাকায় তিনি যে খাবারটা দেন তা বাইরের রেস্টুরেন্টগুলোতে পেতে হলে ১২০-১৩০ টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু তিনি তা ৬০ টাকায় দিচ্ছেন। একই সঙ্গে নিজের ব্যবসাও করছেন। তাই সদিচ্ছা থাকলে খাবারের মান ভালো করা সম্ভব।

আবার আমাদের হলগুলোর ক্যান্টিন মালিকরা কম মূল্যে কারওয়ান বাজারের সবচেয়ে নষ্ট ও বাজে সবজিগুলো কিনে আনেন। এগুলো মূলত কেউ কিনতে চান না। ফলে ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া পচা-বাসি খাবারও পরিবেশন করা হয়, যা আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে ইফেক্ট করে। তাই আমি চাইব, এসব বন্ধ হোক। খাবারের মান নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য হবে। যা ইচ্ছা তা-ই খাবার হিসেবে আপনি উপস্থাপন করতে পারেন না। এছাড়া ক্যান্টিনগুলোর পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। এসব বিষয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। অবশ্যই খাবারগুলো হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত এবং সে লক্ষ্যে আমি কাজ করব। জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলছে- এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এ এটি সবচেয়ে বেশি। প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখতে, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরিতে আপনার ভূমিকা কী হবে?

সাদ বিন কাদের : আমাদের প্রশাসনিক কাজগুলো অনলাইনে গেলে চাপ অনেক কমে যাবে। প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও আমাদের ভর্তিপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য কাজগুলো ডিজিটালাইজড হয়নি। এ কারণে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কর্মকর্তাদের ওপরও চাপ রয়েছে। কারণ সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মকর্তা-কর্মচারী কম। তারাও খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছেন।

আমরা সামগ্রিক বিষয়গুলো অনলাইনে নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে বসব। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতামূলক আচরণ নিশ্চিতে কাজ করব। কারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি না থাকায় তাদের মধ্যেও স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি থাকলে তারা যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারবেন না। জাগো নিউজ : গণরুম ও গেস্টরুম- দুটি বিষয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ দুই অভিজ্ঞতাই রয়েছে…

সাদ বিন কাদের : আবাসন সংকটের কারণেই মূলত গণরুমের সৃষ্টি। একটা বিষয় হচ্ছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষক-দিনমজুরসহ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানই বেশি। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বাইরে থাকার মতো কোনো সামর্থ্য তাদের থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে গণরুম বিশাল একটা সাপোর্ট। তবে প্রতিটা রুমে বসবাসকারীর সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা গেলে ভালো ফল পাওয়া যেত।

আমরা নির্বাচিত হলে আবাসন সংকট দূর করার বিষয়ে প্রশাসনকে চাপ দেব। আশা করি, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত হলে গণরুমও একদিন থাকবে না। আর গেস্টরুমের ক্ষেত্রেও একই বিষয় আসে। বিভিন্ন সময় গেস্টরুমে নির্যাতনের অভিযোগ আসলেও বর্তমানে সেটি অনেকটা কমে এসেছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি নির্যাতনের শিকার হন, সেটি গেস্টরুম হোক বা বাইরে হোক; ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। ছাত্রলীগের কেউ করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিকভাবেও শাস্তি নিশ্চিতে প্রশাসনকে চাপ দেব। জাগো নিউজ : প্রার্থী তো অনেক, ভোটাররা আপনাকে কেন ভোট দেবেন?

সাদ বিন কাদের : ইতোপূর্বে বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে আমি অংশ নিয়েছি। অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এগুলো কিন্তু কখনও আমি প্রচার করিনি। কারণ আমার কিছু পাওয়ার আশা ছিল না। আমি যা করেছি নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকেই করেছি।

গত আট বছর ধরে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। আমার বিশ্বাস, এখন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কেউ (শিক্ষার্থী বা প্রশাসন) কোনো অভিযোগ উপস্থাপন করেননি এবং ভবিষ্যতেও পারবেন না। কারণ আমি সৎভাবে রাজনীতি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমার এসব বিষয় জানে এবং প্রার্থী হওয়ার পর তারাই আমার পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন। এ কারণে আমি মনে করি, আমার অতীত কর্মকাণ্ড আমাকে অন্যান্য প্রার্থী থেকে আলাদা করেছে। তাই আমাকেই নির্বাচিত করবে। জাগো নিউজ : ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামীতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

সাদ বিন কাদের : ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখি আমি। স্বপ্ন তো দেখতেই হবে। আমি চাই, আমার স্বপ্ন আমার পেছনে দৌড়াবে। আমি শুধু কাজ করে যাব। একদিন স্বপ্ন হাতে এসেই ধরা দেবে। এমএইচ/এমএআর/পিআর