‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় নির্বাচনের আগে হাসপাতালে ভর্তি হলে এতো জটিল অবস্থা হতো না। গত ২০ ডিসেম্বর ওবায়দুল কাদের ডাক্তার দেখাতে এখানে (বিএসএমএমইউ) এসেছিলেন। তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল ভর্তি হওয়ার। কিন্তু নির্বাচনের পর আর তিনি আসেননি।’
Advertisement
সোমবার (৪ মার্চ) ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। সে সময় আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে তিনি বলেছিলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর এসে ভর্তি হবেন। কিন্তু নির্বাচনের পর তিনি আসেননি। নির্বাচনের পর তার বোধহয় ভর্তি হওয়ার কথা মনেই ছিল না। অথবা উনি ভেবেছিলেন কিছুই হবে না।
এদিকে ওই অবস্থায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচনের নিজ এলাকায় প্রচারণায় অংশ নেন এবং দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন। নির্বাচন শেষে তার দল নতুন করে সরকার গঠন করলেও তিনি আর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি।
Advertisement
গত শনিবার (২ মার্চ) রাতে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসানের অধীনে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে এনজিওগ্রামে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়। সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ (সোমবার) তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।
এফএইচএস/আরএস/জেআইএম