সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী পাসপোর্ট জটিলতার সমাধান পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশি ভিসা জমা দিতে পারেনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সোমবার দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Advertisement
এদিকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে যারা ছয় মাসের জব সিকার ভিসা সংগ্রহ করেছেন তাদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজের সন্ধান করে ভিসা করার আহ্বান জানিয়েছেন আমিরাত সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্য ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (এফএআইসি) স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন জব সিকার ভিসা কেবলমাত্র কাজের সন্ধান করে বৈধতার জন্য দেয়া হয়। এই ভিসা দিয়ে কাজ করা যাবে না। জব সিকার ভিসা সংগ্রহকারীদের কেউ যদি নতুন ভিসা না লাগিয়ে কাজ করে আর প্রশাসনের হাতে আটক হন তাহলে তাকে ৫০ হাজার দিরহাম জরিমানা দিতে হবে।
এ ছাড়া একই ব্যক্তি যদি নতুন ভিসা না লাগিয়ে দ্বিতীয়বার ধরা পড়েন তাহলে জরিমানা ১ লাখ দিরহামে গিয়ে দাঁড়াবে। শুধু তাই নয় তাকে আমিরাতে আজীবন নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন> সাধারণ ক্ষমায় আমিরাতে বৈধ হয়েছেন ৪৫ হাজার বাংলাদেশি
৬ মাসের মধ্যে যদি নতুন কাজের সন্ধান না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই দেশে চলে যেতে হবে। পরবর্তীতে চাইলে কোনো রকম সমস্যা ছাড়াই ভিজিট ভিসায় আসতে পারবেন। এ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সময় বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। জব সিকারের নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যে নতুন ভিসা না লাগিয়ে দেশটিতে অবস্থান করলে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে প্রথমে তিন মাসের ও পরে আরো দুই মাস সময় বৃদ্ধি করে মোট ৫ মাসের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছিল আরব আমিরাত সরকার। ‘বৈধতা নিশ্চিত করে নিজেকে সুরক্ষিত করুন’ এই স্লোগানে ঘোষিত সময়ের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা চাইলে নামমাত্র ফি দিয়ে তাদের কাগজপত্র বৈধ করা অথবা কোনো জেল-জরিমানা ছাড়াই আমিরাত ছাড়ার সুযোগ ছিল।
এমআরএম/পিআর
Advertisement