মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (সিআইসিইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সংক্রমণরোধে সিসিইউতে প্রবেশ না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
তার নির্দেশনা অনুসারে বিএসএমএমইউর করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিট (আইসিসিইউ) হাই-ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) ও অন্যান্য অস্ত্রোপচার কক্ষে প্রবেশের দরজার ওপর একটি নোটিশ ঝুলছে। তাতে সাদা কাগজের ওপর কালো হরফে বড় বড় করে লেখা রয়েছে, ‘অনারেবল প্রাইম মিনিস্টার অর্ডারর্ড নট টু এন্টার ইন সিসিইউ, প্লিজ কো-অপারেট আস’। অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিসিইউতে প্রবেশ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য অনুগ্রহপূর্বক আমাদের সহযোগিতা করুন।
রোববার (৩ মার্চ) সকালে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা নিয়ে বিএসএমএমইউতে এলে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করে এনজিওগ্রাম করা হয়। এনজিওগ্রামে তার হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এ সময় সার্জনরা একটি ব্লকে রিং (স্ট্যান্ডিং) পড়ান। এ সময় তিনি ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে দ্রুত সিআইসিইউতে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেয়া হয়।
তার অসুস্থতার খবর পেয়ে একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিবিদ ও দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মী ছুটে আসেন। তাকে দেখতে আসেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় চিকিৎসকরা জানান, যেভাবে মানুষের ঢল নেমেছে তাতে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে ওবায়দুল কাদের আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিসিইউতে প্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী এমনকি প্রয়োজনে এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) দেয়া হবে বলে জানান।
Advertisement
তার এ নির্দেশনার পর থেকে গোটা হাসপাতাল তথা সিসিইউ ভবনের সামনে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সংক্রমণরোধে অনেক বড় নেতাদেরও সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে গতকাল ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি হলেও গতরাত থেকে ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। আজ দুপুরে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা রয়েছে।
এমইউ/এসআর/এমএস
Advertisement