সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় বিমান সেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার জেরে জাতিসংঘের ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত থেকে তাকে সরানোর দাবি উঠল পাকিস্তানে। জাতিসংঘ ও ইউনিসেফের কাছে সেই মর্মে পিটিশনও দায়ের হয়েছে ইতোমধ্যে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন কয়েক হাজার পাকিস্তানি নাগরিক।
Advertisement
বিতর্কের সূত্রপাত গত সপ্তাহে। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বিমান সেনারা। পাকিস্তানি সরকারের পক্ষ থেকে যদিও ভারতীয় বাহিনী ফাঁকা জায়গায় বোমা ফেলে পালিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু বিমান সেনার কৃতিত্বে উৎসবে মেতে ওঠে গোটা ভারত। মায়ানগরীর শিল্পীরাও তাতে যোগ দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমান সেনাদের অভিনন্দন জানান অনেকেই, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘জয় হিন্দ।#ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সেস।’
প্রিয়ঙ্কার এ মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করে আসছেন তিনি, যার আওতায় পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অবহেলিত শিশুদের নিয়ে সচেতনতা তৈরি, নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করা, তাদের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেয়া, পরিবেশ রক্ষা এবং লিঙ্গ বৈষম্যের অবসান সংক্রান্ত সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয় তাকে। এ হেন প্রিয়াঙ্কা নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়ার বদলে, ভারতীয় সেনার গুণগান করতে শুরু করলে, রুষ্ট হন পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী মহল। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে প্রিয়াঙ্কাকে সরানোর দাবি তুলে www.avaaz.org ওয়েবসাইটে পিটিশন দায়ের করেন তারা।
ইতোমধ্যে ওই পিটিশনে কয়েক হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে মৃত্যুমিছিল শুরু হবে। এতদিন ধরে যা কিছু গড়া হয়েছিল, এক লহমায় সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কোথায় নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়া উচিত ছিল প্রিয়াঙ্কার। শান্তির বার্তা দেয়া উচিত ছিল। তা না করে ভারতীয় বায়ুসেনার গুণগান করেছেন উনি, যারা কিনা আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে ঢুকে এসেছিল। এর পর আর ওই পদে থাকা মানায় না প্রিয়াঙ্কার। অবিলম্বে ওঁকে সরানো হোক।’
Advertisement
জেডএ/এমকেএইচ