চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে প্রায় চার একর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল বিশাল বাজার ও শপিংমল। সরকারহাট এলাকার ওই জায়গার মালিক সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ হলেও তারা দখল হারিয়েছিল প্রায় তিন যুগ আগে। গত ৩৬ বছর নিশ্চিন্তেই যা ভোগ করছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
Advertisement
খোদ সওজ যে জায়গার কথা প্রায় ভুলতে বসেছিল, ৩৬ বছরের সেই জঞ্জাল এক দিনেই সাফ করেছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন। উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জায়গা।
রোববার (৩ মার্চ) তার নেতৃত্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এ অভিযান চালায়। অভিযানে সহযোগিতা করে পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস।
পরে ইউএনও রুহুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, স্বাধীনতারও আগে ১৯৬২-৬৩ সালে মহাসড়কের পাশে প্রায় চার একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয় সওজের জন্য। কথা ছিল এখানে সওজের অফিস, কর্মকর্তাদের আবাসন ও ইয়ার্ড স্থাপন করা হবে। কিন্তু প্রায় ২০ বছর শূন্য পড়ে থাকার পর আশির দশকের গোড়ার দিকে তা দখলে নেয় স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত তিন যুগেরও বেশি সময়ে সেই জায়গায় গড়ে উঠেছিল বিশাল কয়েকটি বাজার, এমনকি শপিং মলও। সম্প্রতি সওজের সেই জায়গা উদ্ধারে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে নোটিশ দেয় উপজেলা প্রশাসন।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগে নিজ দায়িত্বে মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য দখলদারদের নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই নোটিশে কর্ণপাত করেনি, তাই আজ উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় দুইশ’ স্থাপনা গুঁড়িয়ে জায়গার পুনর্দখল নেয়া হয়।’
অভিযানে আরও অংশ নেন সওজের এস্টেট ও আইনবিষয়ক কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার, মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা জাকের হোসেন।
আবু আজাদ/এমএমজেড
Advertisement