বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলপি গ্যাসের (তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) মূল্য শিগগিরই কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
Advertisement
রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন হল বসুন্ধরায় ‘সাউথ এশিয়া এলপিজি সামিট ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তরা এলপিজি ব্যবহার করেন। সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মনোপলি ব্যবসা রোধ করতে সরকারি খাতের কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেডকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে এলপি গ্যাসের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস আবাসিক খাতে ব্যবহারের জন্য আর দেয়া হচ্ছে না। ৬০টি কোম্পানিকে প্রাথমিক এলপিজি আমদানি ও বটলিং করার অনুমতি দেয়া হলেও ২২টি কোম্পানি এলিপিজি বিপণন কাজে নিয়োজিত থেকে বার্ষিক ৭ লাখ ৭৫ হাজার টন এলপিজি সরবরাহ করছে।
সচেতনতার অভাবে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে দুর্ঘটনা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাহকদের সচেতন করার উদ্যোগ সমন্বিতভাবে নিতে হবে। সিলিন্ডারগুলোতে ট্র্যাকিং করার উদ্যোগ নিলে কার সিলিন্ডার কোথায় কী অবস্থায় আছে তা জানা যাবে। সরকার গভীর সমুদ্রে এলপিজি টার্মিনাল করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।’
এবারের সামিটে মোট ৮০টি কোম্পানি বা সংস্থা অংশগ্রহণ করে। ১৮টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ৪২টি দেশ থেকে এ সামিটে অংশগ্রহণ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান, এলপিজি অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আজম জে চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিখায়েল কেল্লী উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম