জাতীয়

গণহত্যা দিবসে এবারও ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ

গণহত্যা দিবসে (২৫ মার্চ, সোমবার) রাত ৯টা থেকে ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত সারাদেশ অন্ধকারে (ব্ল্যাক আউট) থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত বছরও কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে পুরো দেশ এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাক-আউট) রাখা হয়েছিল।

Advertisement

রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত আমরা সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করব। এই ব্ল্যাক আউটের সময় যানবাহন ও কেপিআইগুলো (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) এর আওতার বাইরে থাকবে। এই কর্মসূচি পালনকালে সারাদেশে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আলো নিভিয়ে প্রতীকী ব্ল্যাক আউটের এই কর্মসূচি গত বছরই (২০১৮) প্রথম চালু করে সরকার। ওই বছর রাত ৯টা থেকে ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত বাতির সুইচ বন্ধ রাখে মানুষ।

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, কূটনীতিকদের সড়কপথে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রত্যাবর্তনের সময় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’

গুলশান থেকে স্মৃতিসৌধে যেতে ও ফিরে আসতে কূটনীতিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিভিন্ন ভবন ও যানবাহনে যে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন হয় সেখানে পতাকা রুল মানতে প্রচারণার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের আহ্বান রাখা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় তোরণ নির্মাণ সীমিত রাখার আহ্বান করছি। রাস্তায় ওভারহেড তোরণ নির্মাণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সবাই যাতে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারে -এ জন্য নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সব আমরা নেব।’

সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আরএমএম/আরএস/জেআইএম