>> স্থাপনা নির্মাণে কৃষিজমি ও জলাধার ঠিক রাখার পরামর্শ >> প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত ১০ বছরে আমরা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছি, তা সারা বিশ্বে দৃশ্যমান। বাংলাদেশের উন্নয়নে সবাই বিস্মিত। আমাদের দেশের মানুষের প্রতি একটি রাজনৈতিক কমিটমেন্ট রয়েছে। দেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের ওয়াদা রক্ষা করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, উন্নয়ন করার জন্য প্রতিটি সেক্টরে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা বাজেট বাড়িয়েছি। বিএনপির আমলের চেয়ে বাজেট বেড়েছে সাতগুণেরও বেশি । এসব অগ্রগতিতে আমাদের প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন বলেই আমরা সফল হচ্ছি।
আজ (শনিবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-বাংলাদেশের (আইইবি) চার দিনব্যাপী ৫৯তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রকৌশলী খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থাপনা নির্মাণের সময় কৃষিজমি ও জলাধার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে আমাদের প্রকৌশলীদের খেয়াল রাখতে হবে । দেশে শিল্পায়ন যেন দ্রুত হয় সেজন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প গড়ে তোলার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, কৃষি জমি ও জলাধারের যেন ক্ষতি না হয়। নদী ও খালবিল বাঁচাতে হবে। এতে পরিবেশ সুন্দর থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জলাধার রক্ষা করা দরকার। রাস্তা বা কোনো স্থাপনা নির্মাণের সময় এটি খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকা শহরে খাল-পুকুর এখন পাওয়া যায় না। আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না। জেলখানার পুকুর থেকে পানি সাপ্লাই দেয়া হয়েছে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে। জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইওয়ে করার সময় দেখতে হবে, যেন পাশে জলাধার থাকে। আমাদের প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় দেশে খুবই কম সংখ্যক লোকের কাছে মোবাইলফোন ছিল। প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। আমরা ক্ষমতায় এসে প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছি। সবার হাতে মোবাইল দেয়া হয়েছে। সবক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। প্রাইভেট সেক্টরকে আমরা উৎসাহিত করি। তাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীত দূর করে আমরা যেন কাজ করতে পারি। আমাদের ভূখণ্ড সীমিত, লোক বেশি- এটি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উন্নয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি আমরা কারিগরি শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছি। ভোকেশনাল ট্রেনিং খুবই দরকার। ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের দেশের কাজে লাগাতে পারব। এ ছাড়া অনেককে আবার দেশের বাইরেও পাঠাতে পারব।
এফএইচএস/এমএমজেড/জেআইএম