খেলাধুলা

মিয়ানমারে শেষটাও রাঙাতে চান মারিয়া-মনিকারা

আসল লক্ষ্যটা পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মিয়ানমারকে হারিয়ে লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ার সর্বোচ্চ মঞ্চে। এবার মারিয়া-মনিকাদের লক্ষ্য গ্রুপসেরা হওয়া। কিন্তু সেখানে বাধা চীনের প্রাচীর।

Advertisement

রবিবার মিয়ানমারের মান্দালার থিরি স্ট্রেডিয়ামে বাংলাদেশ ও চীনের ম্যাচটি শুরু হবে বেলা আড়াইটায়। বাংলাদেশের মতো চীনও নিশ্চিত করেছে চূড়ান্ত পর্ব। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১০-০ গোলে হারিয়েছে ফিলিপাইনকে। চীন ৫-০ গোলে হারিয়েছে মিয়ানমারকে। দ্বিতীয় ম্যাচে চীনের কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারিয়েছে মিয়ানমারকে।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে বাংলাদেশের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে চীন। বাংলাদেশকে জিততে না দিলেই তারা হবে বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। আর বাংলাদেশকে জিততেই হবে। ড্র করলেও গোলগড়ে পিছিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হবে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

এই গ্রুপে চীন টপ ফেবারিট। বাংলাদেশের জন্য এ প্রতিপক্ষ একেবারেই নতুন। আগে বাংলাদেশের মেয়েরা কোনো পর্যায়ের ফুটবলেই চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি। তবে ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার আগে অনূর্ধ্ব-১৬ দল চীন সফর করে চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ছোটনের শিষ্যরা। যার দুটি ছিল দেশটির অনূর্ধ্ব-১৪ দলের বিরুদ্ধে, দুটি প্রাদেশিক দলের বিরুদ্ধে। ওই চার ম্যাচের দুটি জিতেছিল বাংলাদেশ এবং একটি হেরে একটি ড্র করেছিল।

Advertisement

চীনের ওই অনূর্ধ্ব-১৪ দলের কয়েকজন ফুটবলার আছেন দেশটির অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। চীনের ওই সফর ও চারটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে মারিয়া-মনিকাদের।

চীনের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জেতা বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য কঠিন এক কাজ। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও মনে করেন কাজটি কঠিন। তাই বলে কী অসম্ভব? না, কোচ তাও বলেছেন। চীনের বিরুদ্ধে জিতলে মেয়েদের ফুটবলে নতুন এক ইতিহাসই হবে। আর সেটা হলে মিয়ানমার সফরের শেষটাও যে রঙিন হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

Advertisement