অপহরণের নয়দিন পর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সেপটিক ট্যাংক থেকে হাফেজ শফিকুল ইসলাম (২৬) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Advertisement
শনিবার দুপুরে কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. আলম মাঝির আওতাধীন সি-আই ব্লক বাথরুমের পেছনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শফিকুল ইসলাম একই ব্লকের লোকমান হাকিমের ছেলে এবং দারুস সালাম মাদরাসার শিক্ষক।
পুলিশ জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি হাফেজ শফিককে অপহরণ করে রোহিঙ্গারা। ২৫ ফেব্রুয়ারি তার ভাই রফিক ১৩ রোহিঙ্গাকে অভিযুক্ত করে উখিয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন।
সেদিন রাতেই এজাহারনামীয় অভিযুক্ত কোরবান আলী ও কেফায়ত উল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন গ্রেফতারকৃতরা শফিককে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
Advertisement
কিন্তু তারা শফিককে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে তা জানাতে পারেনি। এরপর একই ঘটনার এজাহারভুক্ত দুই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরও সন্ধান মেলেনি শফিকের।
শনিবার সকালে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেপটিক ট্যাংকে এক যুবকের মরদেহ রয়েছে বলে জানতে পারে এবং সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই মরদেহ হাফেজ শফিকের।
এ বিষয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর শনিবার বিকেলে শফিকের পরিবার মরদেহ শনাক্ত করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, কি কারণে ওই মাদরাসা শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে রোহিঙ্গারা বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তবে ধারণা করছি, রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন হাফেজ শফিক।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/এএম/জেআইএম