অর্থনীতি

বিজিএমইএ নির্বাচন : হামলার অভিযোগে মানববন্ধন স্বাধীনতা পরিষদের

পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছে স্বাধীনতা পরিষদ নেতারা। এ হামলায় ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার কারওয়ান বাজার এলাকায় মনববন্ধন করা হয়।

Advertisement

পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আজ (২ মার্চ) সকাল আনুমানিক সোয়া ১০টার পর স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (রিসিভড কপি) নিয়ে ফিরছিলেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিজিএমইএ'র নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত কক্ষ থেকে বের হবার পর আহাদ আনসারি, আমজাদ হোসেন, ফিরোজ, লিটন প্রমুখ মুখচেনা সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে একটি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয় কক্ষের বাইরে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র জমার রশিদ ছিনিয়ে নেয় এবং প্রতিনিধিদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এতে ৪ জন প্রতিনিধি ও ১ জন সদস্যসহ মোট ৫ জন আহত হন।

Advertisement

আহতরা হলেন-এম এইচ মোশতাক চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, শাহজাহান শেখ, আতিনুর রহমান এবং মো. আকরাম আলি।

এহেন সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে স্বাধীনতা পরিষদ আজ (শনিবার) কারওয়ান বাজার এলাকায় বেলা ৩টায় মানববন্ধন করে।

প্রসঙ্গত দুই বছর মেয়াদী বিজিএমএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে প্রায় পাঁচ বছর পর আগামী ৬ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে সংগঠনটির দায়িত্বে আসা সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদের মেয়াদ কয়েক ধাপে বাড়িয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আগামী ৬ এপ্রিল ৩৫টি পরিচালক পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। প্রত্যাহারের শেষ দিন রাখা হয়েছে আগামী ৬ মার্চ।

Advertisement

২০১৫ সালে বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুরকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করেছিল।

এবার সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের আধিপত্য ভাঙতে আলাদাভাবে প্যানেল দিতে যাচ্ছে স্বাধীনতা পরিষদ।

এমইউএইচ/এমএমজেড/জেআইএম