বিনোদন

মালয়েশিয়ান-চাইনিজ দর্শকের মন কেড়েছেন নিরব

মালয়েশিয়ায় মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের নায়ক নিরবের সিনেমা 'বাংলাশিয়া ২.০। ছবিটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মালয়েশিয়ান ও চাইনিজ দর্শকদের কাছে।

Advertisement

২৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া ছবিটি এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। নায়ক নিরব বনে গেছেন মালয়েশিয়ান ও চাইনিজ দর্শকের প্রিয়মুখ। নায়ক নিরব জানান, এখন পর্যন্ত সবগুলো শো খুব ভালো যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখেছি দর্শকের সঙ্গে। যেখানেই যাচ্ছি ছবি শেষে দর্শকরা ছুটে আসছেন ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ‘হেরিস হেরিস’ বলে। সবাই সেলফি তুলছেন, সিনেমার প্রশংসা করছেন। এটা অন্যরকম এক ভালোলাগা।’

‘বাংলাশিয়া’ নামে মালয়েশিয়ার একটি সিনেমায় পাঁচ বছর আগে অভিনয় করেছিলেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক নিরব হোসেন। এ সিনেমায় নিরবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সিঙ্গাপুরের তারকা আতিকা সুহাইমি।

Advertisement

ছবিটির শুটিং টানা ৪২ দিন করে শেষ হয়। এরপর ছবিটির ট্রেলারও প্রকাশিত হয়। জাপানের একটি চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়।

এরপর ছবিটির ওপর মালয়েশিয়ার সরকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করে। শুধু মালয়েশিয়ায় নয়, বিশ্বের কোথাও ছবিটি প্রদর্শন করা যাবে না এরকম একটা আইন হয়।

ছবির ৩১টি দৃশ্য মালয়েশিয়ার সরকারের বিপক্ষে যাওয়ায় সরকার ছবিটির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বেশ কিছু কাটছাঁটের পর ১২ ফেব্রুয়ারি ছবিটির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। নতুন করে সিনেমার নাম দেয়া হয় ‘বাংলাশিয়া ২.০।’

নিরব অভিনীত ছবিটি অবশেষে মালয়েশিয়ায় মুক্তি পেয়েছে গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি। তিন ভাষায় নির্মিত এই ছবি দেশটির ১১১টি সিনেমা হলে একসঙ্গে মুক্তি পায়। পরে সেটি বেড়ে ১১৬ হলে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

ছবির প্রচারণায় অংশ নিতে মালয়েশিয়ায় আছেন নিরব। সেখান থেকে শনিবার জাগো নিউজকে তিনি জানান, মুক্তির প্রথম দিনেই ছবিটি আয় করে নিয়েছে বাংলাদেশি টাকায় যা ৪৫ লাখ টাকারও বেশি। ছবিটি দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা পাচ্ছে।

এই ছবির পরিচালক নেমউই। তিনি এর আগে পাঁচটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। তবে তার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছেন তিনি নিজেই। এর আগে মুক্তি পাওয়া তার ছবি নেসি লেমাক মুক্তির প্রথম দিনে আয় করেছিল ১৭৫০০০ রিঙ্গিত এবং হান্টু গ্যাংস্টার আয় করেছিল ১৮৮০০০ রিঙ্গিত। আর তার ‘বাংলাশিয়া ২.০’ প্রথমদিনে আয় করেছে ২২০০০০ রিঙ্গিত।

নিরব বলেন, ‘অভাবনীয়। অভিভূত আমি। দারুণ সাড়া পেয়েছি। এতোটা আশাও করিনি। সিনেমাটি দেখে সংশ্লিষ্টরা খুব প্রশংসা করেছেন। আমার অভিনয় নিয়েও অনেক ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। প্রিমিয়ারে তারা আমাকে বাংলাদেশি ‘এ্যান্ডি লাও’ বলে সম্বোধন করেন। এ্যান্ডি লাও এখানকার সুপারস্টার।’

এলএ/এমআরএম/জেআইএম