আন্তর্জাতিক

মেং ওয়ানঝুকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে কানাডা

চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ও কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মেং ওয়ানঝুকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কানাডা। কিন্তু আদালত তার বিরুদ্ধে করা মামলার চূড়ান্ত রায় না দিলে সেটা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

Advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মেং ওয়ানঝুকে হস্তান্তরের জন্য বারবার কানাডার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। তারা হুওয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের কাছে প্রযুক্তি বিক্রি করার দায়ে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় ওঠাতে চায়।

আরও পড়ুন>> অভিনন্দনের নামে শিশুদের নাম রাখার হিড়িক ভারতে

গত বছরের ডিসেম্বরে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেং ঝেনফাইয়ের মেয়ে মেং ওয়ানঝুকে ভ্যাঙ্কুবার বিমানবন্দর থেকে আটক করে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি ওয়ানঝুকে আটক করে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার মধ্যে প্রত্যার্পণ বিষয়ক চুক্তি আছে।

Advertisement

চীন বলছে, মেং ওয়ানঝুর বিরুদ্ধে যে মামলাটি আছে তা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে প্রত্যার্পণ বিষয়ক যে চুক্তি আছে তার অপব্যবহার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, ‘প্রত্যার্পণ বিষয়ক শুনানিটি হতে যাচ্ছে একটি রাজনৈতিক ঘটনা।’

আরও পড়ুন>> ৩ বার ফোন করেও মোদিকে পাননি ইমরান খান

তবে কানাডার আদালতে চীনা এ শীর্ষ নির্বাহীর হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে কয়েক মাস এমনকী বছরও লেগে যেতে পারে। চীনের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের শীর্ষ এই কর্মকর্তাকে আটকের ঘটনায় বাণিজ্য যুদ্ধের দুই বৈরি প্রতিপক্ষ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক ডজন মামলা দায়ের করেছে। যদি মামলার শুনানিতে ওয়ানঝুকে হস্তান্তরের যৌক্তিকতা মনঃপুত হয় তাহলে বিচারক তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন>> কে এই হামজা বিন লাদেন?

কানাডার বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘প্রত্যার্পণ চুক্তি অনুযায়ী আদালতের শুনানিতে কারো বিচার হয় না। কাউকে দোষী সাব্যস্ত কিংবা নিষ্পাপ বলেও রায় দেয়া হয় না। অন্য কোনো দেশে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিকে হস্তান্তরের আগে কানাডার আদালতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে হয়।’

এসএ/এমকেএইচ