‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে তিনি চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চেতনা’। একক নায়ক হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন মনোয়ার খোকনের ‘জ্যোতি’ চলচ্চিত্রে। পরের গল্পটুকু সবারই জানা।
Advertisement
সময়ের পরিক্রমায় অমিত হাসান নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হিসেবে। নব্বই দশকে বেশ কিছু ব্যবসা সফল ছবির নায়ক তিনি। জুটি বেঁধে সফল হয়েছেন অরুণা বিশ্বাস, মৌসমুী, শাবনূর, পপিদের সঙ্গে। ২০০৮ সালে টেলিভিউ নামে প্রযোজনা সংস্থা চালু করে প্রযোজক হিসেবেও সফল হয়েছেন তিনি।
‘শেষ ঠিকানা’, ‘জিদ্দী’, ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘রঙিন উজান ভাটি’, ‘ভালবাসার ঘর’ ইত্যাদি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রসংশিত হন অমিত হাসান।
সাম্প্রতিককালে অমিত হাসানকে দেখা যায় নেগেটিভ চরিত্রে। ভিলেন হিসেবেও তিনি পেয়েছেন আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। অমিত হাসানের ভাষ্য, ‘নেগেটিভ চরিত্রগুলো আমি উপভোগ করি।’
Advertisement
অভিনয়ের পাশাপাশি একজন সংগঠক হিসেবেও অমিত হাসান সমাদৃত চলচ্চিত্রে। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানারকম প্রস্তুতি ও মিটিং-বৈঠক। তৈরি হচ্ছে বেশ কয়েকটি প্যানেল। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে অমিত হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো দেরি আছে। আপাতত কিছু ভাবছি না।
শাকিব ও আমি এক প্যানেলের লোক। ও আমার কাছের একটা ভাই। ওর সঙ্গে বসে আলোচনা করেই নতুন নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। সেখানেই ঠিক করবো কে সভাপতি আর সেক্রেটারি পদে লড়বে। আমরা শিল্পীদের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে চাই। শিল্পীদের কর্মসংস্থানের দিকে নজর দিতে চাই। সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করবো।’
এদিকে অমিত হাসান জানান, বর্তমানে ‘শাহেনশাহ’, ‘বয়ফ্রেন্ড’, ‘ও মাই লাভ’, ‘একটু প্রেম দরকার’, ‘মাই ডার্লিং’ ছবিগুলোতে কাজ করেছেন তিনি। সেগুলো মুক্তি পাবে চলতি বছরেই। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ছবির কথা চলছে।
Advertisement
নতুন করে যুক্ত হলেন ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে। শাকিব খান প্রযোজিত এই ছবিতে অমিত হাজির হবেন একটি অতিথি চরিত্রে।
এলএ/এমকেএইচ