ফিলিফাইন ছিল অচেনা প্রতিপক্ষ। তাদের নিয়ে চিন্তাও ছিল বাংলাদেশ দলের কোচ এবং ফুটবলারদের। কিন্তু সেই ফিলিফাইনকে গুনে গুনে ১০টি গোল দিলো মারিয়া-তহুরারা। ১০-০ গোলের বিশাল জয়ে এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার লড়াইয়ে এক পা দিয়েই রেখেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
Advertisement
মিয়ানমার ছিল কঠিন প্রতিপক্ষ। সেটা যে কতটা, তা স্কোর লাইন দেখলেই বোঝা যায়। স্বাগতিক দেশটিকে বাংলাদেশের মেয়েরা হারাতে পারলো কেবল ১-০ গোলের ব্যবধানে। ফিলিফাইনের তুলনায় নিশ্চিত কঠিন একটি দল ছিল মিয়ানমার।
টানা দ্বিতীয় জয়ে টানা দ্বিতীয়বারেরমত এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে ৮ দলের চূড়ান্ত লড়াই। এই লড়াইটি আবার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বও বটে। ফিফা অনুর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাই।
এই টুর্নামেন্ট থেকেই সেরা তিনটি দল সরাসরি খেলবে আগামী অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে। চতুর্থ দলের সামনেও থাকবে সুযোগ। সে ক্ষেত্রে প্লে-অফ খেলতে হবে তাদের। এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে, অর্থ্যাৎ সেরা আট দলে নাম লেখানোর পর এখন বাংলাদেশের মেয়েদের সামনেও তৈরি হয়েছে বিশ্বকাপের মঞ্চে জায়গা করে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ।
Advertisement
আগামী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে আগেই নাম লিখে রেখেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া, তৃতীয় জাপান এবং স্বাগতিক থাইল্যান্ড। এই চার দলের সঙ্গে যোগ হবে দ্বিতীয় পর্বের সেরা চার দল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ইতিমধ্যে টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ও চীন। বাকি দু’দলও নিশ্চিত হওয়ার পথে।
এবারের মত ২০১৭ সালেও এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ দলের চূড়ান্ত পর্ব বসেছিল থাইল্যান্ডে। যা ছিল বিশ্বকাপের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাই পর্বও। সেবার চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় জাপান উঠেছিল উরুগুয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। যেখানে খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরাও। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল উত্তর কোরিয়া, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া।
সেবার বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ৯-০ গোলে হেরেছিল উত্তর কোরিয়ার কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানের কাছে মেয়েরা হেরেছিল ৩-০ গোলে। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা চমক দেখিয়েছিল শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তীব্র লড়াই করে হেরেছিল ৩-২ গোলে।
এবারও দাপটের সঙ্গে মারিয়া-তহুরারা নাম লেখালো চূড়ান্ত পর্বে। সেরা আট থেকে যেতে হবে সেরা তিনে। চারে থাকলেও একটা সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে। বাংলাদেশের মেয়েরা কি পারবে, সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী ফুটবলের চূড়ান্ত পর্ব থেকে সেরা তিনে কিংবা সেরা চারে নাম লেখাতে?
Advertisement
আইএইচএস/এমএস