অমর একুশে বইমেলার বর্ধিত দিনে দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়ে বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ। বেচাবিক্রি ভালো হওয়ায় প্রকাশকরাও খুশি। শুক্রবার মেলা প্রঙ্গণ ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
Advertisement
মেলার দুই প্রান্তে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। যারাই আসছেন বই নিয়েই ফিরছেন তারা। অনেকে আবার মেলার সময় বাড়ানোয় বই কিনতে এসেছেন আজই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র এহসান আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এবার কিছু ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে মেলায় তেমন সময় দিতে পারিনি। তবে আজ অনেকগুলো বই কিনেছি। বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ মেলার সময় বৃদ্ধি করার জন্য।’
প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী নাহিদ হাসান বলেন, ‘সকাল থেকেই ক্রেতাদের প্রচুর চাপ। আজই মনে হচ্ছে সর্বোচ্চ বেচাবিক্রি হচ্ছে।’
অন্য প্রকাশের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলাউদ্দিন টিপু বলেন, ‘আজকে বেচাবিক্রি অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে ভালো। দর্শনার্থীরা আর সময় নষ্ট করতে চাচ্ছেন না। সবাই বই কিনেই ফিরছেন।’
Advertisement
বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ছাত্রী আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘আজ বেশ কয়েকটি বই কিনেছে। সময় সুযোগ না হওয়ায় ইতোপূর্বে বই তেমন কেনা হয়নি।’
বর্ধিত দিনে মেলার সামনের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বরের রাস্তায় গাড়ি চলতে দেয়ায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় দর্শনার্থীদের। মেলার সামনের রাস্তায় গাড়িগুলোও জ্যাম তৈরি করছে। রফিকুল ইসলাম নামে এক দর্শনার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আর দুইটা দিন রাস্তাটা বন্ধ থাকলে তেমন কী অসুবিধা হতো! পা ফেলতেই গাড়ি এসে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত ছিল।’
এমএইচ/এসআর/পিআর
Advertisement