বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার এবং অধিনায়ক তিনি-এ নিয়ে সংশয় নেই কারো। হোক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা দেশ স্পেন, রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী তিনি। কিন্তু সেই সার্জিও রামোসই আবার মাঠের মধ্যে মাথা গরম করে বারবার চলে আসেন আলোচনায়।
Advertisement
এবার যেমন খবরের শিরোনাম হলেন স্বেচ্ছায় হলুদ কার্ড দেখে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচের আয়াক্স আমস্টারডামের বিপক্ষে ইচ্ছাকৃতভাবে হলুদ কার্ড দেখায় টুর্নামেন্ট আয়োজক কর্তৃপক্ষ রামোসকে বাড়তি এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আয়াক্সের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন রিয়াল মাদ্রিদ। যে কারণে পরপর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় নিয়মের মধ্যে থেকেই দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। যার ফলে রিয়াল শেষ আটের টিকিট পেলে সে ম্যাচে ফিরতে পারতেন রামোস।
ম্যাচ শেষে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন যে ৮৯তম মিনিটের কার্ডটি ছিলো ইচ্ছাকৃতভাবে দেখা। যাতে করে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ মিস করলেও কোয়ার্টার ফাইনালে থাকতে পারেন মাঠে। এ স্বীকারোক্তি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ম্যাচের ফলের দিকে তাকালে এটা বলা ভুল হবে যে আমি ইচ্ছে করে কার্ড দেখিনি। এটা প্রতিপক্ষকে খাটো করা নয় কিংবা এও ভাবা নয় যে আমরা ছিটকে গেছি। তবে ফুটবলে মাঝেমাঝে অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হয়।’
Advertisement
রামোসের এমন মন্তব্যের পরই ক্ষেপে যায় উয়েফা। ইচ্ছাকৃতভাবে কার্ড দেখার ঘটনাটিকে তারা খেলার জন্য অপমানজনক হিসেবে যথাযথ তদন্ত করে ঘটনার। যেখানে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুই হলুদ কার্ডের জন্য এক ম্যাচ এবং বাড়তি আরো এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় রিয়াল অধিনায়ককে। যার মানে দাঁড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ শেষ আটে পৌঁছালেও প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে পারবেন না রামোস।
আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে উয়েফা জানায়, ‘আমাদের শৃঙ্খলা পর্যালোচনা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সার্জিও রামোসকে উয়েফা প্রতিযোগিতার পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এর কারণ হলো ইচ্ছাকৃতভাবে হলুদ কার্ড দেখা। এই দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার একটি হলো দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখার কারণে।’
এসএএস/এমএস
Advertisement