আজই পর্দা নামছে অমর একুশে বইমেলার। মাসব্যাপী চলা প্রাণের মেলা শেষ হবে বৃহস্পতিবার রাতে। এবার মেলা উপলক্ষে রেকর্ড সংখ্যক বই প্রকাশিত হয়েছে। পাঠক ও দর্শকের উপস্থিতিও ছিল অন্যবারের চেয়েও বেশি।
Advertisement
গত ১ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতি বছরের ন্যয় এবারও আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মেলার সার্বিক তথ্য তুলে ধরবেন।
এবারের বইমেলা শুরু থেকেই জমে ওঠে। বিশেষ করে উদ্বোধনের দিন থেকে পরপর দু’দিন ছুটির দিন থাকায় প্রথম থেকেই ছন্দ ফেরে মেলায়। বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পর থেকে পূর্ণতা আসে। একুশে ফেব্রুয়ারির দিনেও এবারে উপচে পড়া ভিড় ছিল বইমেলায়। যদিও সেদিন পুরান ঢাকার চকবাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের কিছুটা প্রভাব পড়েছিল গোটা রাজধানীজুড়েই।
তবে শুরু থেকে প্রাণে প্রাণে ভরে উঠলেও শেষের দিকে বৃষ্টিতে খানিক বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয় মেলায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীজুড়ে। গতকাল বুধবার ভারি বর্ষণের কারণে সন্ধ্যাতেই মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘মেলার ২৬তম দিন পর্যন্ত ভালো চলছিল। কিন্তু প্রকৃতির কাছে সবাই তো অসহায়। বৃষ্টির কারণে শেষবেলার আয়োজনে খানিক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও মেলার সার্বিক দিক নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
এবারের বইমেলায় ৫২৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ ছাড়াও ১৮০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬২০টি ইউনিটসহ মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে দুটি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্টল পেয়েছে অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠানও।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্রন্থমেলা উন্মুক্ত থাকে। ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলে। আর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চালু ছিল।
Advertisement
এএসএস/এনডিএস/পিআর