যক্ষ্মা রোগে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বের শীর্ষ ২২ দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বছরে সারাদেশে প্রতি এক লাখে প্রাণ হারাচ্ছে ২২১ জন যক্ষ্মারোগী। সচেতনতার অভাবে প্রতি বছর শনাক্তের বাইরেই থেকে যাচ্ছে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত প্রায় ৯৪ হাজার লোক। ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট বিভাগ রয়েছে ১ম স্থানে। তবে এ রোগের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের হল রুমে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্ম নিরোধ সমিতি (নাটাব) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানায়।
নাটাব জানায়, সিলেট বিভাগের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয়। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী। হীড বাংলাদেশের আনুমানিক তথ্য অনুযায়ী- হবিগঞ্জে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা। ২০১৩ সালে এ জেলায় যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৭৩৪ জন। যা ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৯ জনে।
নাটাব সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ফিল্ড সুপারভাইজার সুমন চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল। এতে বক্তব্য দেন নাটাব সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন, সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাশ, হীড বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোশাররফুল হক প্রমুখ।
Advertisement
বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি সারাদেশে ২২টি এনজিও কাজ করে যাচ্ছে। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তবে ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ না করায় অনেক রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন না। যেহেতু এ রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় তাই সম্পূর্ণরূপে যক্ষ্মামুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তবে এর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে এ রোগ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই সকলকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএআর/পিআর