সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি অব্যাহত কমতে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত সাত দিনে জেলার কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও সদর উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। পানি কিছুটা কমায় এখনো জেলায় ২৫টি ইউনিয়ন পানির নিচে তলিয়ে থাকায় এ অঞ্চলের ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবন-যাপন করছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কটে এ অঞ্চলের মানুষরা দুর্বিসহ জীবন অতিবাহিত করছেন। বানভাসি মানুষেরা স্থানীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে পানি কমার সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলা সদর ও পোতাজিয়া এবং বেলকুচি উপজেলা সদরে বন্যার্তদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। দুইটি উপজেলায় ২০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। বেলকুচি উপজেলা সদরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল হাসান ও শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহমেদের নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোতে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম।জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ হাসান ইমাম জাগো নিউজকে জানান, গত দুইদিন ধরে পানি কমতে শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নেমে যাবে বলেও তিনি জানান।বাদল ভৈামিক/এমজেড/পিআর
Advertisement