টিম বাংলাদেশ হ্যামিল্টনে টেস্ট খেলছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বাউন্সি উইকেটে নেইল ওয়াগনার আর টিম সাউদিদের বিপক্ষে লড়াই করলেন একা তামিম ইকবাল। শর্ট বলের বিপক্ষে আরেক কার্যকর দাওয়াই হতে পারতেন সাকিব আল হাসানও।
Advertisement
২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে 'টিপিক্যাল' কিউই কন্ডিশনে, বাড়তি গতি ও বাউন্সের মুখেও ডাবল সেঞ্চুরি করে সাকিব জানান দিয়েছিলেন, আমি জোরে বল ভয় পাই না। শরীর, বুক, মুখ ও মাথা সোজা বল আসলেও সমস্যা হয় না। ওয়েলিংটনের সেই টেস্টের আরেক সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহীমও পাজরের ব্যথার কারণে নেই হ্যামিল্টনে।
বাকি যারা আছেন সেই মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ, মিঠুন, লিটন, সৌম্য সবারই শর্ট বলের বিপক্ষে সমস্যা আছে বা হয়। তাই সাকিবের অভাবটা চোখে পড়লো বেশি করে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এখন কোথায় এবং কেমন আছেন?
৮ ফেব্রুয়ারি বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের লঙ্কান রিক্রুট থিসারা পেরেরার বলে আঘাত পেয়ে প্রায় বিশ দিন ধরে মাঠের বাইরে সাকিব। তার রিহ্যাবের কী অবস্থা? মাঠে ফেরার অগ্রগতিই বা কতদূর?
Advertisement
এদিকে তাকে ঘিরে নানাগুঞ্জন, ফিসফাস। অনেকেরই ধারণা ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে অংশ না নিলেও ইনজুরি কাটিয়ে আইপিএল খেলতে চলে যাবেন সাকিব। এর মাঝে হঠাৎ জানা গেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে পারেন সাকিব। হাওয়া থেকে পাওয়া খবর নয়। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এমনটাই জানিয়েছিলেন স্বদেশি সাংবাদিকদের।
আসলে সাকিবের অবস্থা কী? মাঝে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কি দেশে ফিরে এসেছেন? তা নিয়েও রয়েছে ধুম্রজাল। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও জানেন না সাকিব এখন কোথায়, দেশে না বিদেশে। যার সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ও পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে সাকিবের মাঠের ফেরা, সেই ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরীও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সাকিব দেশে ফিরেছেন কি-না।
জাগোনিউজের সঙ্গে আলাপে প্রধান নির্বাচক ও বিসিবির প্রধান চিকিৎসক- দুজনই জানিয়েছেন আঘাত পাওয়ার তিন সপ্তাহ পর সাকিবের আঙুলে এক্সরে করা হবে। এক্সরে রিপোর্ট ভালো আসলে মানে আঙুলে চিড় কমলে পরবর্তী পদক্ষেপ। সেটা অনুশীলনও হতে পারে আবার রিহ্যাবও হতে পারে।
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে সাকিবের ইনজুরির তিন সপ্তাহ পূরণ হবে মার্চের এক তারিখ। এরপর বিসিবিতে রিপোর্টিংয়ের জন্য বলা রয়েছে তাকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২ বা ৩ তারিখে এক্সরে করানো হবে তার আঙুলে।
Advertisement
এআরবি/এসএএস/জেআইএম