প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এ দায় রাজনৈতিক দলগুলোর এবং প্রার্থীদের।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরার আইইএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
পরে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটার আনার দায় রাজনৈতিক দলগুলোর। আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেই, রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা প্রার্থীদের ভোটার নিয়ে আসতে হয়। আমরা বলে দেই পরিবেশ সুষ্ঠু আছে, সবকিছু নিরাপদ আছে এবং সবাই ভোট দিতে আসতে পারে।’
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি- দুইটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম থাকতে পারে। একটি হচ্ছে- স্বল্প সময়ের জন্য এই নির্বাচন, এক বছর পরে আবার নির্বাচন হবে- সেজন্য কম হতে পারে। আর সব রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে না ভাবে ভোটার কম হতে পারে।’ সিইসি আরও বলেন, ‘দিন গড়ালে মানুষ বাড়তে পারে। তবে উপস্থিতি ওই রকম সংখ্যক নাও হতে পারে।’
Advertisement
নির্বাচন ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োগ করে দিয়েছি। নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি আছে বলে আমরা মনে করছি না।’
দুই ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে এক শতাংশের কম ভোট পড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না। ভোটতো ৪টা পর্যন্ত। ৪টার পর বলা যাবে- কেমন ভোট পড়লো।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ইসি সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির এ নির্বাচনে মোট ৩২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদপ্রার্থী ছাড়া উত্তরের সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতোমধ্যে উত্তরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Advertisement
ইসি আরও জানায়, উত্তর সিটির সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি, মোট ভোটকেন্দ্র এক হাজার ২৯৫টি এবং ভোটকক্ষ ৬ হাজার ৪৮২টি। এতে মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩০ জন এবং নারী ভোটার ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯১ জন।
ঢাকা উত্তর সিটির সম্প্রসারিত ১৮ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ৬ ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র ২৪৩টি এবং ভোটকক্ষ এক হাজার ৪৭২টি। মোট ভোটার ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৮৫ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ৪২০ জন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাধারণ ১৮টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ৬টি ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র ২৩৫টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ২৫২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৭ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ২৩৮ জন।
জেপি/এমবিআর/জেআইএম