খেলাধুলা

আবাহনীকে হারিয়ে সেমিতে প্রাইম ব্যাংক

দুই রুবেল। একজন রুবেল মিয়া এবং অন্যজন রুবেল হোসেন। রুবেল হোসেনকে সবাই চেনে। জাতীয় দলের পেসার। কিন্তু রুবেল মিয়াকে হয়তো আজ থেকে কিছু ক্রিকেটপ্রেমী চিনবে। বিশেষ করে আবাহনীর বোলাররা। রুবেল হোসেনও চিনবেন, তার নামের সঙ্গে মিল একজন ব্যাটসম্যান রয়েছেন, যার কাছে তাকে মার খেতে হয়েছে।

Advertisement

যদিও মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই রুবেলের মধ্যে অদ্ভূত একটা মিল রয়েছে। আবানহীর রুবেল হোসেন তার দলের হয়ে করেছেন সর্বোচ্চ রান। আর প্রাইম ব্যাংকের রুবেল মিয়াও করেছেন তার দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান। যদিও আবাহনীর রুবেলের দ্বিগুণেরও বেশি রান করেছেন রুবেল মিয়া।

শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে রুবেল মিয়ারই। ৫৬ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি আবাহনীর বিপক্ষে ৪৯ রানের দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন তার দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। শুধু তাই নয়, আবাহনীকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে প্রাইম ব্যাংক।

বৃষ্টি বিঘ্নিত হলেও মিরপুরে আলো-আঁধারির এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের দারুণ এক লড়াকু পুঁজি এনে দেন ওপেনার রুবেল মিয়া। এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে রুবেল মিয়া গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ২২ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়।

Advertisement

এরপর জাকির হাসান ১০ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে যান। আল আমিন করেন ১৩ বলে ২০ রান। আরিফুল হক করেন ১৫ বলে ২১ রান। দলীয় ১৬৭ রানের সময় আউট হন রুবেল মিয়া। ততক্ষণে তার নামের পাশে লেখা হয়ে গেছে ৫৬ বলে ৭৬ রান। ৭টি বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।

জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের বোলার এবং ফিল্ডারদের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সামনে আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ২০ রানেই তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত (১১), মোসাদ্দেক হোসেন (১৭), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনরা (১২) চেষ্টা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।

শেষ মুহূর্তে আবাহনীর ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং শিখিয়ে দেন বোলার রুবেল হোসেন। ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৬ রান করে তিনি। রুবেলের এই ৩৬ রানের কারণেই ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে রক্ষা পায় আবাহনী। শেষ পর্যন্ত তারা ৯ উইকেটে ১২৭ রানে গিয়ে থামে। প্রাইম ব্যাংকের মোহর শেখ ও অলক কাপালি নেন ৩টি করে এবং আল আমিন হোসেন নেন ২ উইকেট।

আইএইচএস/পিআর

Advertisement