যশোরের শার্শায় হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বেশিরভাগ আম গাছের মুকুল ঝরে পড়েছে। এতে অধিকাংশ গাছে আশানুরূপ আম না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Advertisement
গত দুইদিনে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে অধিকাংশ আম গাছের মুকুল ঝরে মাটিতে পড়ে যায়। এতে স্থানীয় আম চাষিদের স্বপ্ন ভেঙে যায়।
সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বৃষ্টি, ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে হচ্ছে বজ্রপাতও। এতে করে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
শিলাবৃষ্টির কারণে উপজেলার শার্শা, বাগআঁচড়া, নাভারণ, গোগা, কায়বা ও উলাশিসহ বিভিন্ন এলাকায় আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েছে গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মুকুল। তবে আমের মুকুলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
তিনদিনের বৃষ্টি, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে পড়ায় চরম লোকসান গুনতে হবে বলে জানালেন স্থানীয় আমচাষি বাবলুর রহমান। তিনি বলেন, আম গাছে মুকুল যে পরিমাণ এসেছিল, তাতে অন্যান্য বছরের লোকসান অনেকটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হতো। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।
গতবারের চেয়ে এবার আমের বাগানের সংখ্যা ছিল বেশি। বাগানে আমের মুকুল দেখে খুশিতে মন ভরে গিয়েছিল চাষিদের। মনে অনেক স্বপ্ন আর বুকভরা আশা জেগেছিল তাদের মনে। কিন্তু অসময়ের শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুলের সঙ্গে সঙ্গে ঝরে গেছে সেই স্বপ্ন আর আশা।
উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল, যা এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল বলেন, শিলাবৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো বাতাসে আমের মুকুলের পাশাপাশি এই এলাকার কুল, গম, ডাল, সরিষা, নাবিজাতের আলুর ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ। শিলাবৃষ্টির কারণে আমের মুকুল শতকরা ৩০ ভাগ নষ্ট হয়েছে।
Advertisement
জামাল হোসেন/এএম/পিআর