বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ক্রেতা সংগঠন একর্ড, উত্তর আমেরিকার ক্রেতা সংগঠন এলায়েন্স ও জাতীয় উদ্যোগের আওতায় ৩ হাজার ৭৮০টি কারখানার প্রিলিমিনারী এসেসমেন্ট শেষ হয়েছে। এতে ১৬৩টি কারখানাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার মামুনুর রশীদ কিরনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ সব ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার মধ্য থেকে ৩৯টি কারখানা সম্পূর্ণ বন্ধ এবং ৮৬টি কারখানা আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলোর সংস্কার চলছে। তিনি জানান, বর্তমানে একর্ড-এর সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির হার ৮৪ শতাংশ এবং এলায়েন্সের হার ৯০ শতাংশ। জাতীয় উদ্যোগে সংস্কার কাজের জন্য একটি সেল গঠন করা হয়েছে। এজন্য কারখানা ও পরিদর্শন অধিদফতরের প্রকল্পের জনবল বাড়ানো হয়েছে।
রফতানি আয় থেকে আমদানির ব্যয় বেশি ১৬২৭১.৪৩ মিলিয়ন ডলার
Advertisement
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশী জানান, বাংলাদেশে গত অর্থবছরে আমদানি ব্যয় ৫২ হাজার ৯৩৯.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানি আয়ের পরিমাণ ৩৬ হাজার ৬৬৮.১৭ মিলিয়ন মার্কির ডলার।
আনোয়ারুল আজিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৬ লাখ মেট্রিক টন। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারি চিনিকলগুলোতে উৎপাদন ছিল ৬৮ হাজার ৫৬২.৫০ মেট্রিক টন। সে কারণে ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া থেকে চাহিদার বাকি চিনি আমদানি করতে হয়।
পনির উদ্দিন আহমেদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে সরকার নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, চীন, ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মেসিডোনিয়া, মরিশাসসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, ভারত থেকে আমরা টোবাকো এবং এলকোহল ব্যতীত সব পণ্যে এ সুবিধা পাচ্ছি, চীন থেকে ৫০৫৪টি, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৪৮০২টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়া গেছে। এছাড়া বিশ্বের বহু দেশ থেকে আমরা এ সুবিধা পাচ্ছি বলে জানান তিনি।
Advertisement
এইচএস/জেএইচ/পিআর