পাঁজরের হাঁড়ের ইনজুরিটা নতুন নয়। এশিয়া কাপের সময় থেকেই ভোগাচ্ছে মুশফিকুর রহীমকে। এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ গেলো। বিপিএল গেলো। মুশফিকুর রহীম দিব্যি খেলে গেছেন। এমনকি নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলেছেন পাঁজরের চোট নিয়ে। শেষ পর্যন্ত টেস্ট সিরিজ থেকেই ছিটকে যেতে হচ্ছে তাকে। হ্যামিল্টনে তো খেলা হচ্ছেই না, সিরিজের পরের টেস্টেও খেলতে পারেন কি না সন্দেহ।
Advertisement
কিন্তু মুশফিকুর রহীমের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে একটা সন্দেহজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন খোদ ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মুশফিকের খেলা না খেলা নিয়ে উচ্চারণ করলেন, ‘মে বি (সম্ভবত)’ শব্দটা।
গতবছর তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন মুশফিকুর রহীম। লম্বা টেস্ট ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে তার মানসিকতা সর্বজনবিদিত। নিউজিল্যান্ডে গত সফরেও তিনি সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।
এবারের সফরে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের পরই এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, পাঁজরের হাঁড়ে চিড় ধরা পড়েছে। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালে আঙ্গুলেও ব্যাথা পেয়েছিলেন তিনি। ভাঙা পাঁজর এবং আঙ্গুল নিয়েও তৃতীয় ওয়ানডেটা খেলেছেন তিনি।
Advertisement
মুশফিকুর রহীমের ম্যাচ খেলার এই যে জিদ, এ কারণেই সম্ভবত অধিনায়করা একটা সন্দিহান অবস্থায় থাকেন, মুশফিক খেলবেন কি খেলবেন না। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও হয়েছে একই অবস্থা। মুশফিকের অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘ভালোর দিকে আছে তার অবস্থা। তবে আমি মনে করি, সম্ভবত আগামীকালকের ম্যাচে তাকে আমরা দলে পাচ্ছি না।’
আগেরদিনই প্রধান কোচ স্টিভ রোডস জানিয়ে দিয়েছেন, শতভাগ ফিট না হলে মুশফিককে নিয়ে রিস্ক নেবেন না তারা। তিনি বলেন, ‘না, যদি সে ৭০ কিংবা ৮০ ভাগও ফিট থাকে তবুও তার বিষয়ে আমরা চিন্তা করবো। কারণ, এটা তো আর এশিয়া কাপের ফাইনাল, বিশ্বকাপের ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনাল ম্যাচ না যে, খেলতেই হবে।’
আগে থেকেই দলে নেই সাকিব আল হাসান। ইনজুরি এবার ছিটকে দিয়েছে মুশফিকুর রহীমকে। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে ছাড়া টেস্ট খেলতে নামতে হচ্ছে। কোচ এটাকে বলেছেন, বাংলাদেশ দলের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘তারা দু’জনই আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে একই সময়ে তাদের পরিবর্তে যারা সুযোগ পাবে, তাদের নিজেদের প্রমাণ করারও বড় একটা মঞ্চ এটা।’
আইএইচএস/পিআর
Advertisement