ওয়ানডে সিরিজে দলের সেরা পারফরমার ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। দলের ব্যর্থতার মাঝেও টানা দুই ওয়ানডেতে ফিফটি করেন। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডের আগে বাগড়া দিয়ে বসে ইনজুরি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটিতে আর মাঠে নামা হয়নি মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের।
Advertisement
তবে চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মিঠুন। বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস তাকে হ্যামিল্টন টেস্টের একাদশে পাওয়ার ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী। তবে অনিশ্চয়তা আছে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমকে ঘিরে।
মুশফিকের সমস্যা একটি নয়। আপাতত সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে পাঁজরের চোট। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার সময়ই পাঁজরের পুরোনো চোটটা জেগে উঠে, তারপরও তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলেছেন তিনি।
মুশফিকের এই পাঁজরের সমস্যার সঙ্গে আছে সাইড স্ট্রেইন আর কব্জির চোটও। তাই টিম ম্যানেজম্যান্ট নিশ্চিত করে বলতে পারছে না, ঠিক কখন সুস্থ হয়ে উঠবেন সাবেক অধিনায়ক।
Advertisement
স্টিভ রোডসও নিশ্চিত করে বলতে পারলেন না, প্রথম টেস্টে মুশফিক থাকছেন কি না। তবে মিঠুনকে নিয়ে আশাবাদী টাইগার কোচ। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি আশা করছি মিঠুন ভালো থাকবে। তবে মুশফিককে নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। আমার মনে হয়, তাকে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তবে মিঠুনকে নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। সে ছন্দে আছে। ওয়ানডেতে দুটি ভালো ইনিংসও খেলেছে। নেটে দেখেও ভালো মনে হয়েছে। মনে হয়েছে সে প্রস্তুত।’
সিরিজ শুরুর আগেই ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান আর তাসকিন আহমেদ। এর মধ্যে অনিশ্চয়তা মিঠুন আর মুশফিককে নিয়ে। তবু একাদশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার পক্ষপাতী নন রোডস।
টাইগার কোচ বলেন, ‘আমাদের তো খেলতে হবে। একাদশ যাই হোক, তারা দেশের জন্য সেরাটাই দেবে। চোট তো হবেই, ছেলেরা খেলা মিস করবে এটাও স্বাভাবিক। এতে করে কিন্তু স্কোয়াডের গভীরতা কত, সেটারও একটা পরীক্ষা হয়ে যায়।’
এমএমআর/জেআইএম
Advertisement