দেশজুড়ে

টাকাসহ ধরা পড়ে সেটেলমেন্টের দুই কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ৪

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচতলায় নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় বিনা রসিদে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে জমির পর্চা দেয়ার প্রামাণ পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. জিয়াউল কবির ও কালীচরণ রায় চৌধুরী। এছাড়া সার্ভেয়ার মো. মনির হোসেন ও পেশকার মো. নজরুল ইসলামকেও বরখাস্ত করা হয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বরিশাল দুদকের উপ-পরিচালক দেবব্রত মন্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় ঝালকাঠি সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কাম সার্ভেয়ার নজরুল ইসলাম, নলছিটির সার্ভেয়ার মনির হোসেন ও অফিস সহকারী সুধীর রঞ্জনের কাছে পাওয়া নগদ ১৬ হাজার ৭৭০ টাকা জব্দ করা হয়। এসব টাকা কিসের সে বিষয়ে কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি ওই তিন কর্মচারী।

অভিযানে বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারী পরিচালক আল আমিন ও রণজিৎ কুমার কর্মকারও অংশ নেয়। এ সময় সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. জিয়াউল কবির ও কালীচরণ রায় চৌধুরী অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।

Advertisement

এদিকে অভিযানের বিষয়টি হয়রানি উল্লেখ করে অভিযানের নামে ওই তিন কর্মচারির কাছ থেকে বেতনের টাকা, ছাপাপর্চা ও নকশা বিক্রির টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে গত শুক্রবার বেলা ১১টায় ঝালকাঠি সংবাদ সম্মেলনে করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝালকাঠি সেটলমেন্ট কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মনির হোসেন। দুদক কর্মকর্তারা জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওই অফিসের পেশকার মো. নজরুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক সুধির রঞ্জন কির্ত্তনীয়া উপস্থিত ছিলেন।

আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম

Advertisement