অতর্কিতে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকার ধামালকোটের সৌখিন রোড, নারব রোডসহ ধামালকোট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে ১১ হাজার বস্তিবাসী গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন এনবাস, ইন্ডিবাস, বস্তিবাসী সুরক্ষা কমিটি ও বাংলাদেশ বস্তিবাসী ইউনিয়ন।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম অডিটরিয়ামে সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। কাপের সহ-সভাপতি কাজী বেবীর সভাপতিত্বে এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনবাস সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার। আরও বক্তব্য রাখেন আব্দুল বারেক, হোসনে আরা রাফেজা, হান্নান আকান্দসহ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কোনো নোটিশ ছাড়াই অতর্কিতে সৌখিন রোড, নারব রোডসহ ধামালকোট এলাকায় উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলে। এতে ১১ হাজার বস্তিবাসী গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ, জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা ও হ্যাবিটাট (১ ও ২) সনদ অনুযায়ী গৃহহীন নগর দরিদ্রদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের পুনর্বাসনের অঙ্গীকার করেছেন, কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসন না করে, বস্তিবাসীদের সঙ্গে আলোচনা না করে বস্তি উচ্ছেদ করেছে।
Advertisement
উল্লেখ্য স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের কাছে বিক্রয়ের জন্য ওই স্থানে ১৫ তলা বিশিষ্ট আটটি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এতে মধ্যম আয়ের মানুষ বরাদ্দ পেলেও বঞ্চিত হবেন নিম্ন আয়ের বস্তিবাসীরা। এ কারণে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় বস্তিবাসীদের তালিকা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বস্তিবাসীদের বাদ দিয়ে নগর সচল রাখা যাবে না। নিম্নআয়ের মানুষদের আবাসনের সুবিধা না থাকলে ঢাকা সবার জন্য হবে না এবং নগর অচল হয়ে পড়বে।
এফএইচএস/এমএমজেড/জেআইএম
Advertisement