খোলা মাঠে চুমু খাওয়ার অপরাধে চাকরি গেছে তানজানিয়ার এক পুলিশ জুটির। খোলা মাঠে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার শখ হলো, খেলেনও। তবে তা আবার পুলিশের পোশাকেই। সে দৃশ্যের ছবি তুললেন আরেক পুলিশ বন্ধু। এরপর চুম্বনরত সেই ছবি দেওয়া হলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে। ব্যাস! তোলপাড় শুরু হলো। ফলাফলে চাকরি হারালো ওই জুটি।তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাগেরা এলাকায় সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে। গত ৯ অক্টোবর ফেসবুকে তা প্রকাশ হয়। বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, চুমু খাওয়ার অপরাধে চাকরি যাওয়ার ঘটনাকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড বলে মনে করছেন অনেকে।ফেসবুকে অনেকে মন্তব্য করেন, ‘সহকর্মীর সঙ্গে এমন সম্পর্ক বা আচরণের কারণে তাদের তিরস্কার করা যেত, কিন্তু চাকরি থেকে বরখাস্ত করাটা বাড়াবাড়ি। ঘুষ নেওয়ার চেয়েও চুমু খাওয়াকে বড় অপরাধ বলে মনে করছে পুলিশ বিভাগ।’তবে সমালোচনা যতই হোক না কেন, তানজানিয়ার পুলিশ বিভাগ মনে করছে তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক। আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার হেনরি মাওয়াইবামবে বিবিসিকে জানিয়েছেন, পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার জন্য তাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ওই পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাকে সব ধরনের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারা পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ কারণে চাকরি হারিয়েছেন।’পুলিশ কমান্ডার হেনরি মাওয়াইবামবে বলেন, ‘চুম্বন করার অপরাধে তাদের চাকরি যায়নি। পুলিশের পোশাক পরে জনসমক্ষে এমন আচরণ ও ফেসবুকে ছবি দেওয়ার জন্য তাদের চাকরি গেছে।’গত সপ্তাহে তানজানিয়ার স্থানীয় একটি পত্রিকায় খবরটি প্রকাশ হওয়ার পরে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বেশির ভাগ লোকজনই মনে করেন, এ ধরনের শাস্তি খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ফেসবুকে একজন মন্তব্য করেন, তাদের তিরস্কার করা যেত। কিন্তু বরখাস্ত করাটা বাড়াবাড়ি।ফেসবুকে আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আমি একবার প্রাক্তন ও প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিগ্যানকে নিজ কার্যালয়ে তার স্ত্রীকে চুম্বন করতে দেখেছি। কিন্তু তখন কেউ তাদের দোষারোপ করেনি।’এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারেও ঝড় উঠেছে। টুইটারে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘পুলিশ জুটির ওই চুম্বনকে ঘুষের চেয়ে বড় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে।’
Advertisement