দেশজুড়ে

খুলনায় শিলাবৃষ্টি, রাস্তায় হাঁটুপানি

খুলনায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে এ বৃষ্টিপাত। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হয়।

Advertisement

সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও ৯টার দিকে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে পড়েছে শিলাও। ফাল্গুনের বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আর্শিবাদ হলেও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে আমের মুকুল গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি।

এক ঘণ্টায় মহানগরীর রাস্তায় হাঁটুপানি জমে গেছে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে গিয়ে ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ব্যস্ততম নগরীর রয়্যালের মোড়, শামসুর রহমান রোড, পিটিআই মোড়, শান্তিধামের মোড়ে বৃষ্টির পানিতে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।

স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। বজ্রপাত তো আছেই। গোলকধাম থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ছোট বড় গর্তে পানি জমে চলাফেরায় ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। মশার উৎপাত আগে থেকেই ছিল, বৃষ্টি যেন তাতে ঘি ঢেলে দিয়েছে। কর্মব্যস্ত শিল্প এলাকা দৌলতপুরের মানুষ বছর শুরুর বৃষ্টিতে আটকা পড়েছে ঘরে।

Advertisement

ইউনিভিশনের নির্বাহী ব্যবস্থাপক হেলাল হোসেন বলেন, পানিতে সয়লাব খুলনা শহরে ভোগান্তিতে শহরবাসী। তার ওপর ওয়াসার খুঁড়ে রাখা গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খুলনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার বলেন, হালকা শিলবৃষ্টিতে বোরো ধানের উপকার হবে। আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হলে হতে পারে।

খুলনার আবহাওয়া কার্যালয়ের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড় আসবে এমন প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৫৬ কিলোমিটার। শিলাবৃষ্টির সঙ্গে হয়েছে বজ্রপাত।

আলমগীর হান্নান/এএম/এমএস

Advertisement