ওয়ানডে সিরিজটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। সেই দুঃস্বপ্ন ভুলতে এখন চাই টেস্টে কিছু করে দেখানো। সেটা কি পারবে বাংলাদেশ? নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বরাবরই টাইগারদের জন্য গোলক ধাঁধা। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যাটিং আত্মবিশ্বাসের পালে কিছুটা হাওয়ার সঞ্চার করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে হ্যামিল্টনে শুরু সিরিজের প্রথম টেস্টে সেই আত্মবিশ্বাসটাই বড় পুঁজি হতে পারে সফরকারিদের।
Advertisement
ওয়ানডের তুলনায় টেস্ট কঠিন ফরমেট। কিন্তু ধৈর্য্য ধরে খেললে বিরূপ কন্ডিশনেও যে ভালো খেলা সম্ভব, সেটি সর্বশেষ সফরে (২০১৭ সালে) দেখিয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম আর সাকিব আল হাসান। এক ইনিংসে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিদের তোপ সামলে সাকিব করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি, মুশফিকের উইলো থেকে আসে দেড়শোর্ধ এক ইনিংস।
সেই স্মৃতি অবশ্য পুরোনো হয়ে গেছে। এবার সাকিব আল হাসান নেই। তবে এই সাকিবকে ছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। চারশোর্ধ ইনিংস গড়ে সফরকারিরা, রান পেয়েছেন দলের প্রায় সবাই।
আসলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভালো করতে হলে আসল দায়িত্বটা পালন করতে হবে এই ব্যাটসম্যানদেরই। সবারই জানা, কিউই কন্ডিশনে উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভোগায় সুইং, পেস আর বাউন্স। ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার পেছনে ছিল কিউইদের এই পেস আক্রমণ। প্রতি ম্যাচেই শুরুর দিকে উইকেট হারাতে হয়েছে, তারপর ধুঁকতে ধুঁকতে সম্মান রক্ষার লড়াই।
Advertisement
ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির সাপের ফনার মতো একেবেঁকে আসা ডেলিভারিগুলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামলাতে হবে টেস্ট সিরিজেও। তাদের সঙ্গে যোগ হবেন নিল ওয়েগনার আর ম্যাট হেনরি।
কিউইদের এই ভয়ংকর পেস আক্রমণ শুরুতে সামলে নিতে পারলে পরে যে রান করা সম্ভব, ওয়ানডে সিরিজে সেটা দেখিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন আর সাব্বির রহমান। টানা দুই ইনিংসে ফিফটি করেন মিঠুন। শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকান সাব্বির।
শুরুর প্রতিরোধ পরে যে কি ফল দিতে পারে, সেটির প্রমাণ খুঁজতে হলে আবারও ফিরে তাকাতে হবে সেই ২০১৭ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে। সেবার ওয়েলিংটন টেস্টে টপ অর্ডারের তামিম ইকবাল আর মুমিনুল হক কিউই বোলারদের নতুন বলে সামলে নিয়েছিলেন। পরে সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়েই সাকিব ২১৭ আর মুশফিক ১৫৯ রানের দুটি ইনিংস খেলে দেন।
এবারও তেমন কিছু করা সম্ভব, যদি শুরুর ঝড়টা সামলে নিতে পারেন টপঅর্ডারের তামিম, সাদমান, মুমিনুলরা। পরের কাজটা তবে সহজ হয়ে যাবে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, লিটন, সৌম্যদের। আর ব্যাটিং ভালো করা মানেই টেস্টে লড়াইয়ের রসদ পেয়ে যাওয়া!
Advertisement
এমএমআর/জেআইএম