জাতীয়

তেজগাঁওয়ে হিমাগারে মেয়াদোত্তীর্ণ হাজার মণ মাংস-মাছ

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুরাতন এফডিসি রোডের একটি হিমাগারে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ওই হিমাগারটিতে অভিযান শুরু হয়।

Advertisement

সেভ অ্যান্ড ফ্রেশ ফুড লিমিটেড নামে ওই হিমাগারে আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ মাছ ও মাংসের কিমা মজুত রাখার সত্যতা পায় র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই হিমাগারে র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।

অভিযানে উপস্থিত আছেন র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, ডা. ফজলে রাব্বি মণ্ডল, ডা. রিগ্যান মোল্লা, ফারহানা রিসা, ঢাকা জেলা মৎস্য অফিসার সৈয়দ মো. আলমগীরসহ একাধিক কর্মকর্তা।

সারওয়ার আলম বলেন, অভিযানকালে দেখা যায়, আমদানিকৃত আনুমানিক হাজার মণ মেয়াদোর্ত্তীণ মাছ ও মাংস এখানে মজুত করে রাখা হয়েছে। সুন্দরভাবে প্যাকেটিং করা হলেও মাছ ও মাংসগুলো মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরই। আর এসব ভেজাল মাছ-মাংস সরবরাহ করা হতো বিভিন্ন সুপারসপ ও নামি-দামি হোটেল-রেস্তোরাঁয়। সেফ অ্যান্ড ফ্রেশ ফুড নামক হিমাগার থেকে আমদানিকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় ১১০০ মণ গরু, মুরগি, মহিষ ও ভেড়ার মাংস ও আমদানিকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ ৪০০ মণ মাছ, কাকড়া, শামুক জব্দ করা হয়। অভিযান এখনও চলছে।

Advertisement

‘মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রি ও মজুত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই হিমাগারের কর্তৃপক্ষ ও মালামালের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিনের অভিযোগ এই হিমাগার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ মাছ, মাংস, বিফ পেডিস, ভেড়ার হাড়, মহিষের মাংস মজুত, বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিল।

এখানে ইন্ডিয়ান কোম্পানি রুস্তম ফুড নামক প্রতিষ্ঠান আমদানিকারক ও ফুড চেইন এশিয়া লিমিটেড নামক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল বেশি রয়েছে বলে অভিযানের শুরুতে দেখা যাচ্ছে। অভিযান শেষ হলে জব্দকৃত পণ্যের পরিমাণ, কোন কোন প্রতিষ্ঠান এখানে মালামাল রাখছে তা স্পষ্ট হবে। জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেইউ/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement