‘ইঁদুর থাকাটা স্বাভাবিক, দোকানে ইঁদুর থাকবেই’ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে এমন দাবি করেছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিষ্টি ব্যবসায়ী প্রদীপ্ত পাল।
Advertisement
মঙ্গলবার চুনারুঘাট উপজেলার মিষ্টির দোকানে অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে এমন যুক্তি উপস্থাপন করেন মিষ্টি ব্যবসায়ী প্রদীপ্ত।
উপজেলা সদরের পাল সুইটসের দোকানে এ অভিযান চালায় র্যাব-৯ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি, মিষ্টিতে অসংখ্য তেলাপোকা ও দোকানে ইঁদুর পাওয়া যায়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, অভিযান চলাকালে দেখা যায় পাল সুইটসের দোকানের মেঝেতে রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি, তৈরিকৃত খাবারে ছিল না ঢাকনা, ঢাকনাবিহীন খাবারের ওপর ঝুলানো ছিল নোংরা কাপড়, মিষ্টিতে পড়েছিল তেলাপোকা এবং চারপাশ ছিল নোংরা।
Advertisement
এ সময় দোকানটিতে পচা দই, ইঁদুর ও তেলাপোকা এবং মিষ্টির প্যাকেটের অতিরিক্ত ওজন পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এসব বিষয়কে স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন মিষ্টি ব্যবসায়ী প্রদীপ্ত পাল। সেই সঙ্গে প্রদীপ্ত পাল বলেছেন মিষ্টির দোকানে এসব থাকবেই।
তখন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় মিষ্টির দোকানের মালিক প্রদীপ্ত পালকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পরবর্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন করবে না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।
আমিরুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, একই দিনে চুনারুঘাটের দুই ইটভাটাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৯ ধারায় ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইটভাটাগুলোতে তৈরিকৃত ইটের দৈর্ঘ্য ও পরিমাপে কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহয়তায় ছিলেন র্যাব-৯-এর শ্রীমঙ্গলের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম।
Advertisement
অভিযান চলাকালে অধিদফতরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আমিরুল ইসলাম মাসুদ।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এএম/পিআর