অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচার বিভাগেও দুর্নীতি আছে, এটা সাংবাদিকরা ও বিভিন্ন এনজিও বলে থাকেন। আমিও বলি। দুর্নীতির রোগ আছে, এটা লুকিয়ে লাভ নেই। এই দুর্নীতির রোগ কীভাবে মুক্তি পাবে, সেই চেষ্টা করতে হবে। আজকে যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটা হলো এই রোগমুক্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ।
Advertisement
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সলিসিটর ভবনে ই-ফাইলিং সেবা কার্যকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, এই প্রযুক্তির ফলে ফাইল লুকিয়ে রাখা, ফাইল গায়েব করার হাত থেকে আমরা হয়তো মুক্তি পাব। আরেকটা জিনিস হলো জবাবদিহি। কার কাছে ফাইলটা গেল, কে কী কাজ করলেন, এটাও ভবিষ্যতে দেখা হবে। এই যে প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রবেশ করেছি, এটা সম্ভব হয়েছে এ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পর্যায়ক্রমে এটি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসসহ অন্যান্য জুডিশিয়াল অফিসেও চালু হবে। সব থেকে বড় কথা হলো- প্রতারণা করে অনেকেই জামিন নিয়ে যায়। হাইকোর্টে জজ সাহেবরা স্বাক্ষর করেন নাই অথচ তার সার্টিফাইট কপি দেখিয়ে জামিন নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি সবখানে ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালু হয়ে যায়, তাহলে জালিয়াতি করতে পারবে না। এর ফলে গণতান্ত্রিক হবে আমাদের বিচার বিভাগ। অনেক স্বচ্ছতা আসবে।
Advertisement
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মাহবুবে আলম অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসসহ সলিসিটর ভবনটি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত আনার জন্য আইনমন্ত্রীকে বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের বিচারবিভাগ পর্যায়ক্রমে ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। প্রযুক্তির সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়, সলিসিটর আজ সংযুক্ত হলো। এই প্রযুক্তির সঙ্গে যদি আমরা সংযুক্ত না হতাম তাহলে কিন্তু পিছিয়ে থাকতাম। পিছিয়ে থাকলে বিচার প্রার্থীদের কাছে তড়িৎ বিচারসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হত না। সুষ্ঠু বিচার যদি আমরা পৌঁছে দিতে না পারি, তাহলে সেটা হবে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা। আর এতে জনগণ বিচার বিভাগের কাছে আসবে না।
অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন-সলিসিটর জেসমিন আরা, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব প্রমুখ।
এফএইচ/জেডএ/পিআর
Advertisement