এবার বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি যাচ্ছেন প্রায় লক্ষাধিক যাত্রী। তবে তাদের অধিকাংশের সঙ্গে যেতে পারছেন না বাংলাদেশি গাইডরা। ভিসা জটিলতার কারণে গাইড ছাড়াই সৌদি গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে এসব হাজিদের।সরেজমিন রাজধানীর আশকনা হজক্যাম্পে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেল। যেসব এজেন্সির গাইডরা এখনো ভিসা পাননি তারা ভিড় করেছেন ক্যাম্পের পরিচালকের কক্ষের পাশে।আইডিয়াল ট্রাভেলসের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর জানান, ৫০ জনের বেশি হাজি যাচ্ছেন এমন এজেন্সিগুলোর জন্য গাইড হিসেবে একজনের ভিসা দিচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। যা বারকোড নামে পরিচিত। সেই বার কোড দিতে মন্ত্রণালয় নানা ধরনের টালবাহনা করছে।জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, সৌদিতে হাজিরা নতুন, তাদের দেখাশোনার জন্য লোকের প্রয়োজন। হাজিদের কাছ থেকে আমরা আগে থেকেই সৌদিতে থাকা-খাওয়া, গাড়িভাড়া নিয়ে রেখেছি। তবে আমরা ভিসা না পাওয়ায় তাদেরকে ‘অভিভাবকহীন’ ভাবেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন নিজেদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে চলতে হচ্ছে তাদের। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বারকোড চাইলে তারা এক লাখ টাকা দাবি করে যদিও তা বিনামূল্যে দেয়ার কথা।এমএম ট্রাভেলসের পরিচালক মো. নুরুন্নবী অভিযোগ করেন, ৫০ জনের মোয়াল্লেম ফি জমা দেয়ার পরেও আমাকে বারকোড দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার তাদের কাছে বারকোড চাইলে এখন বলছে ১০০ জনের জন্য একটি বারকোড বরাদ্দের কথা। তবে আদৌ বারকোড পাবো কি-না এর জবাব দিতে পারছে না কেউ।এবিষয়ে হজক্যাম্পের তথ্য কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, বারকোড বণ্টনে কোনো অনিয়ম কিংবা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী সব এজেন্সির প্রতিনিধিরা বারকোড পেয়ে সৌদি আরবে গিয়ে হাজিদের খেদমত করতে পারবে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন দুই হাজার ৬০০ এবং ৯৯ হাজার ১৫৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।গত ১৬ আগস্ট থেকে হজযাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শুরু হয়। বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্সও হজযাত্রী পরিবহন করছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়ংশ যাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন।এআর/বিএ
Advertisement