সদ্য সমাপ্ত ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আরএফএল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড ও রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (হিসাব) চৌধুরী আতিউর রসুলের হাতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
এ বছর বাণিজ্য মেলায় সেরা ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরএফএলের তিন প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১০ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন : রফতানিতে স্বর্ণপদক পেল ‘আরএফএল
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাতিল কমপ্লেক্স, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স, র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স, বাটারফ্লাই মার্কেটিং, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স ও নাভানা ফার্নিচার।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ইপিবি যেভাবে ক্যাটাগরি অনুসারে পুরস্কার দেয়, এনবিআরও সেভাবে ভ্যাট পুরস্কার চালু করলে সবার মধ্যে ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ জোগাবে। কারণ সরকার আমাদের পুরস্কার দিচ্ছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: নতুন ‘রোডবিট’ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল এনেছে আরএফএল
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পৃথক একটি দিন উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাট দিবস বা আয়কর দিবসের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পৃথক একটি দিন আলাদাভাবে উদযাপন করা যেতে পারে। ৩১ দিনের মেলায় একটি বিশেষ দিন হলে মানুষের মধ্যে ভ্যাট প্রদানের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন : আরএফএল বেস্ট বাই’ এখন ঢাকাসহ ২৬ জেলায়
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় হাতিল ৯৯ লাখ, ওয়ালটন ৪২, এসকোয়ার ৩৪ লাখ, র্যাংগস ২৭ লাখ, বাটারফ্লাই ২৩ লাখ, আরএফএল ইলেকট্রনিক্স ২১ লাখ, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স ১৮ লাখ ৮৫ হাজার, ডিউরেবল প্লাস্টিক ১৭ লাখ, নাভানা ফার্নিচার সাড়ে ১৬ লাখ এবং রংপুর মেটাল ১৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেছে।
এদিকে চলতি বছর মেলায় ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর বাণিজ্য মেলা থেকে ভ্যাট আহরণের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। চলতি মেলায় ছয় কোটি টাকার ভ্যাট সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আহরণ হয়েছে সাত কোটি এক লাখ টাকা। মেলায় অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রিতে পাঁচ শতাংশ ব্যবসায়ী ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল।
কাস্টমস ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য এনবিআর সদস্য শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
এসআই/এএইচ/জেআইএম