জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা নতুন কোনো দল করলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ডে’-এর ঘোষণাপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
Advertisement
যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন কোনো জামায়াত নেতা যদি নতুন দল করতে চায় তবে আইনগতভাবে কোনো বাধা থাকবে কি না -জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা যখন তিনি করতে যাবেন তখন আমরা খতিয়ে দেখব।’
জামায়াত ইসলামীর নিষিদ্ধে আইনের সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘যে মামলাটি আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে, সেটা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করার জন্য। হাইকোর্ট ডিভিশন তাদের নিবন্ধন বাতিলের রায় দিয়েছেন। সেটার বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছে তা এখন পেন্ডিং আছে। আপিলে যদি হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় বহাল থাকে তাহলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হবে এবং জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশে আর থাকতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেটা করার চেষ্টা করছি, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা মানবতাবিরোধী যে অপরাধ করেছে সেই অপরাধের জন্য বিচার করা। আপনারা এটাও জানেন, ফৌজদারি অপরাধ কিন্তু তামাদি হয় না।’
Advertisement
আনিসুল হক বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী যে রূপেই আসুন না কেন, তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর যারা ছিল তারা যদি অপরাধের মধ্যে সম্পৃক্ত থাকে তবে আদালতে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার এক আসামির সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের গোপন বৈঠকের অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন আমি একটা কথা বলি, এ ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন যেকোনো কমেন্ট যদি আমি করি তাহলে যেই জিনিসটা দেখা হচ্ছে তার ওপর একটা প্রভাব পড়বে। যতক্ষণ পর্যন্ত না জিনিসটা স্পষ্টভাবে আমার কাছে না পৌঁছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কমেন্ট করব না।’
তদন্ত শেষ হতে কতদিন লাগতে পারে -জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি কারো ওপরে চাপিয়ে দিতে চাই না, এই সময়ের মধ্যে। একটা জিনিস আপনারা দেখবেন, তুরিন আফরোজের এই কারণে প্রসিকিউশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজ বন্ধ নেই। শুধু শুধু অন্য ট্র্যাকে যাওয়ার এখন কিন্তু প্রয়োজন নেই। তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখার পর আমি কথা দিতে পারি যে, আই উইল কাম আপ উইথ দ্য রিপোর্ট।’
নাগরিকত্ব আইনের সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে আছে, আমরা এটা দেখছি।’
Advertisement
আরএমএম/আরএস/এমকেএইচ