জাতীয়

জীবন ট্রাভেলসের খোঁজে হজক্যাম্পে হায়দার

গাজীপুরের হায়দার আলী। স্ত্রীসহ হজে যাবার জন্য জীবন ট্রাভেলস নামে হাব অনুমোদিত একটি হজ এজেন্সিকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তবে ছয় মাস আগে টাকা দিলেও বর্তমানে এজেন্সির মালিকের দেখা পাচ্ছে না হায়দার। সশরীরে গিয়েও মিলছে না কোনো উত্তর। তাই ট্রাভেলস এজেন্সিটির মালিকের খোঁজে হজক্যাম্পে চলে এসেছেন তিনি।বৃহস্পতিবার আশকনার হজক্যাম্পে গিয়ে চোখে পড়লো হায়দারের ছুঁটোছুটি। নিজের হজ ফ্লাইট, ভিসা, পাসপোর্টের খোঁজে আইটি ডেস্ক, তথ্য ডেস্ক, সহকারী পরিচালক আর পরিচালকের ঘরে-বাইরে জীবন ট্রাভেলসের মালিক আশরাফ আলী ফারুকীকে খুঁজছেন হায়দার।হায়দার জাগো নিউজকে জানান, প্রায় এক বছর আগে স্ত্রীসহ হজে যাবার জন্য আমি এক লাখ টাকা জমা দিই। পাসপোর্ট জমা দেয়ার পর থেকে এপর্যন্ত হজের কোনো আপডেট জানায়নি জীবন ট্রাভেলস। টেলিভিশনে হজ ফ্লাইট ছাড়ার সংবাদ দেখে আমি ট্রাভেল এজেন্সিতে যাই। সেখানে এজেন্সি মালিক ছিলেন না। মালিকের এক আত্মীয় তার ফোন নম্বর দেয়।ফোনে ফারুকীকে ফোন দিলে তিনি ‘দ্রুত’ ভিসা হবে বলে আশ্বাস দেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে হায়দারের ফোন ধরছেন না ফারুকী। তাই সশরীরে তাকে খুঁজতেই হজ ক্যাম্পে চলে এসেছেন তিনি।হায়দার বলেন, ‘গত বছরের রোজার ঈদের পরপরই টাকাগুলো জমা দিয়েছিলাম। খুব আশা নিয়ে বসে আছি আল্লাহর ঘর দেখবো। তবে এবার আদৌ যেতে পারবো কি-না কে জানে।’হজে না যেতে পারলেও তার এবং তার স্ত্রীর পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হায়দার।উল্লখ্য, বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন দুই হাজার ৬০০ জন এবং ৯৯ হাজার ১৫৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।গত ১৬ আগস্ট থেকে হজযাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শুরু হয়। বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্সও হজযাত্রী পরিবহন করছে।এআর/বিএ

Advertisement