পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকস্মিক হামলার পর যথাযথ জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামাবাদ। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ও লঞ্চ প্যাডে হামলার পর দেশের সব বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত।
Advertisement
আকস্মিক ওই হামলার পর ভারতের সব বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে লুতিয়েন্স এলাকায় প্রতিরক্ষা স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে সীমান্তের কাছাকাছি পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভারতের হামলায় নিহত ৩০০ : ইন্ডিয়া ট্যুডে
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে এক হাজার কেজি বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বিমান বাহিনী। এই অভিযানের কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তানও। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। তারা মুজাফফরাবাদ সেক্টরে অনুপ্রবেশ করেছে।
Advertisement
ভারত থেকে দাবি করা হয়েছে, সোমবার বালাকোট সেক্টর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান। বালাকোট, চাকোটি এবং মুজফফরাবাদে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের ৩টি কন্ট্রোল রুম এবং বেশ কয়েকটি লঞ্চ প্যাড ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের হামলা
ওই হামলার কথা স্বীকার করলেও পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছে। পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ভারতীয় সামরিক বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর পাকিস্তানি জঙ্গি বিমানের ‘তাড়া খেয়ে পালানোর’ আগে বালাকোটের কাছে ‘বোমা ফেলে’ গেছে।
এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন, সময়মত উপযুক্ত সাড়া দিয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। ফলে পাক বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় সেনারা।
Advertisement
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মুতে পাক রেঞ্জার্সের গোলাবর্ষণ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা চালায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চরমে উঠেছে।
টিটিএন/এমকেএইচ