***খালেদাসহ সকল আসামিকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ
Advertisement
***আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়েছেন খালেদা
***সকল আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৩ মার্চ
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এজন্য জন্য প্রডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। এছাড়া খালেদাসহ ১১ আসামিকে আগামী ১৩ মার্চ আদালতে হাজির থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান এ আদেশ দেন। এছাড়াও কারাবন্দি খালেদার পক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা প্রদান করেন।
আদালতের পেশকার আশিকুর রহমান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামি আমিনুল ইসলামের পক্ষে উচ্চ আদালতে যে স্থগিত আদেশ ছিল তা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিচারক আগামী ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামিকে আদালতে হাজির থাকার জন্য নির্দশ দিয়েছেন। এছাড়া খালেদাকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকেই গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়। টানা এক মাস ২ দিন বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা নেয়ার পর ফের তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেএ/এসএইচএস/পিআর