জাতীয়

অবশেষে পলাশের মরদেহ গ্রহণ করলো পরিবার

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সময় কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদের মরদেহ অবশেষে গ্রহণ করেছেন তার বাবা পিয়ার জাহান সরদার। মরদেহ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। 

Advertisement

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। শনাক্তের পর যাচাই বাছাই শেষে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মরদেহ বুঝে দেয়া হয়।

এর আগে পলাশেরমরদেহ গ্রহণ ও দাফন করতে আপত্তি জানান তার বাবা পিয়ার জাহান। তিনি বলেন, পলাশ দেশ ও জাতির কলঙ্ক, সে আমার সন্তান হতে পারে না। এমন সন্তানের বাবা হিসেবে পরিচয় দিতে আমার লজ্জা হচ্ছে। যে সন্তান অনেক আগেই বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়েছে সেই সন্তানের বাবা হিসেবে আমার বলার কিছুই নেই। কলঙ্কিত ছেলের লাশ আমি গ্রহণ করতে চাই না, আমার হাত দিয়ে কলঙ্কিত সন্তানের লাশ দাফন করতেও চাই না।

আরও পড়ুন : কলঙ্কিত ছেলের লাশ নিতে চাই না : পলাশের বাবা 

Advertisement

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া বলেন, রোববার রাতে কমান্ডো অভিযান শেষে পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। প্রথমে পুলিশ তার সুরতহাল করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হসেপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষ হয়। নিহতের কেউ চট্টগ্রামে না থাকায় মরদেহটি হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। সোমবার রাত আড়াইটা দিকে নিহতের মরদেহ শনাক্ত করেন তারা বাবা পিয়ার জাহান সরদার। রাতেই তিনি মরদেহ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।

উল্লেখ্য, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি অস্ত্রধারী পলাশ ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়।

আরও পড়ুন : আমি ওই প্লেনে ছিলাম না : সংসদে বাদল 

বিমান ‘ছিনতাই’ চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীকে ধরতে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। পরে ওই অভিযানে গুলিতে মারা যান পলাশ। বিমানের ওই ফ্লাইটটিতে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিলেন।

Advertisement

আবু আজাদ/এএইচ/এমকেএইচ