জাতীয়

নারী উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত

নারী উন্নয়ন নীতির বাস্তবায়নের জন্য বাজেট বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। একই সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নারীকে ক্ষমতায়িত করার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কতটুকু সুফল আনতে পারছে তা জানার জন্যও মনিটরিং করা জরুরি।

Advertisement

আসন্ন জাতীয় বাজেটে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাজেট বরাদ্দ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আয়োজনে সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পরিষদের আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম। তিনি বলেন, ইক্যুয়ালিটির জন্য অর্থায়ন এবং বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন। বাংলাদেশের নারী আন্দোলন গত নব্বই দশক থেকেই এই বিষয়টি গ্রহণ করেছে। এখন ৪টি থেকে ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেট হচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রস্তাব রেখেছে জেন্ডার বাজেট এবং ইম্প্যাক্ট মনিটরিং করার জন্য সরকারি-বেসরকারি নারী আন্দোলন সমন্বয়ে সেল গঠনের সুপারিশ করেছে।

সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেন, বণ্টন যদি জেন্ডার সংবেদনশীল হয় তাহলে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা যায়। জেন্ডার বাজেট বলতে কী বোঝায়, মেথডলজি এবং এই বাজেটের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নারীকে ক্ষমতায়িত করার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কতটুকু সুফল আনতে পারছে তা জানার জন্য মনিটরিং করা জরুরি।

Advertisement

বাল্যবিবাহ এবং অল্প বয়সে গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া নারীদের জন্য আবাসন, নিরাপদ যানবাহন, ডে কেয়ার সেন্টারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

সভায় বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, নারী উন্নয়ন নীতির বাস্তবায়নের জন্য বাজেট বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। প্রতিবছর কমপক্ষে ৫০ জন নারী উদ্যোক্তার পুঁজির ব্যবস্থা সরকার করবে আর এ জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকতে হবে। এর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নারী উদ্যোক্তা হতে পারবে। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে গার্হস্থ্য অর্থনীতি মেয়েদের এবং কৃষি শিক্ষা ছেলেদের আলাদা না করে দুটি বিষয়েই ছেলে-মেয়েরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী গ্রহণ করার সুযোগ থাকতে হবে।

আলোচনায় সভায় অন্যান্যদের মাঝে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এর সহ-সভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস আইনজীবী সোফিয়া হোসেন, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফেরদৌসী সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক তাহিয়া আনান ধীরা, মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি পরিচালক জনা গোস্বামী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএস/আরএস/জেআইএম

Advertisement