সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কুমিল্লার কৃতিসন্তান, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী জাফর আহমদের মরহেদ বর্তমানে তার নিজ বাসভবন গুলশানের ৬৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাসা ‘চিওড়া হাউজে’ রাখা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে মরদেহ তার বাসভবন চত্বরে নেয়া হয়। এ সময় স্ত্রী, কন্যাসহ আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রিয় ব্যক্তিকে দেখতে বাসবভন চত্বরে ভিড় করনি।ঢাকা থেকে রাত ১০টায় সেল ফোনে কাজী জাফরের একান্ত সহকারী গোলাম মোস্তফা জানান, ‘শুক্রবার নামাজে জানাজা পর্যন্ত মরদেহ বাসার চত্বরে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হবে, তবে মরদেহ দাফনের স্থান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম নাকি ঢাকায় হবে তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেননি স্যারের (কাজী জাফর) পরিবারের সদস্যরা’।বর্তমানে মরহুম কাজী জাফরের স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তিন মেয়ের মধ্যে কাজী জয়া আহমেদ, কাজী সোনিয়া আহমেদ দেশে অবস্থান করলেও অপর মেয়ে কাজী রুনা আহমেদ অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। শুক্রবার তিনি দেশে ফেরার পরই দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।শুক্রবার সকাল ৮টায় টঙ্গীর মিল গেইট, বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।উল্লেখ্য, কাজী জাফর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় গুলশানের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির পর সকাল সাড়ে ৭টায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তার পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবত কাজী জাফর আহমদ কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার কিডনি ট্রান্সফার করা হয়েছিল।কামাল উদ্দিন/বিএ
Advertisement