পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে সব কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। একই সঙ্গে যেসব বাসা বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ক্ষতিকর কেমিক্যাল জাতীয় দব্য পাওয়া যাবে সেখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির নগর ভবনের সেমিনার কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণকল্পে এক বিশেষ জরুরি সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণের কাজ শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য দুই স্তরের টাক্স ফোর্স গঠন করা হবে। ১ম স্তরে থাকবে সেবা সংস্থাগুলোর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা এ কার্যক্রমবিষয়ক পরিকল্পনা, নির্দেশনা এবং বাস্তবায়নের কাজ করবেন। আর ২য় স্তরের সদস্যরা অন গ্রাউন্ডে থেকে কাজ করবেন।
সংস্থাগুলোর প্রধানদের উদ্দেশ্যে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, অভিযানের সময়ে যেসব বাসায় বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ক্ষতিকর ক্যামিকেল জাতীয় দব্য পাওয়া যাবে আপনারা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন। আমরা ১৫টি ওয়ার্ড ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। ২/৩টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে কাজ করা হবে।
Advertisement
২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে পুরান ঢাকা থেকে সমস্ত কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর দ্রব্যের কারখানা অপসারণ করা হবে বলেও জানান মেয়র সাঈদ খোকন।
এর আগে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুর রহমান, ওয়সার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, তিতাস গ্যাসের এমডি মোস্তফা কামাল, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক সোহরাব আলী, বিস্ফোরক অধিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক শামসুল আলম, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহম্মাদ ফেরদৌস খান, ডিপিসির এমডি বিকাশ দেওয়ানসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি এবং পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/আরএস/এমএস
Advertisement