বেশির ভাগ মানুষই প্রকৃতির মাঝে থাকতে পছন্দ করেন। একটা ছোট্ট দ্বীপ, চারপাশে সুবিশাল জলরাশি, আর কেউ নেই এমন একটা নিরিবিলি জায়গা কার না পছন্দ। কিন্তু এমন একটা ছোট্ট দ্বীপে একা একা কতদিন থাকতে পারবেন আপনি?
Advertisement
৮১ বছরের কিম সিন ইওল কিন্তু ঠিকই দিনের পর দিন একাই একটি দ্বীপে কাটিয়ে দিচ্ছেন। ১৯৯১ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে দ্বীপটিতে বাস করছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর এখন একাই এই দ্বীপের বাসিন্দা কিম।
পুলিশ, নাবিক, পর্যটক, লাইটহাউস অপারেটর অনেকেই এই দ্বীপে বেড়াতে আসেন। বেশির ভাগ সময়ই ঝড়বৃষ্টিতে আশপাশের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দ্বীপটি। ৭০-য়ের দশকে ডুবুরিদের বেশ কিছু পরিবার এই দ্বীপে থাকতেন। কিন্তু আবহাওয়ার কারণেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করে দ্বীপটি।
কিমের এক নাতি জানিয়েছেন, তার দাদীর কাছে এটি শান্তির জায়গা। তাই এখানে থাকতেই ভালবাসেন তিনি। সময় কীভাবে কাটে? জবাবে কিম জানান, মাছ ধরেই বেশির ভাগ সময় কেটে যায়।
Advertisement
একাই ভালো আছেন। তবে নিজের ছেলে আর পুত্রবধূকেও দ্বীপের বাসিন্দা করতে চান কিম। পর্যটকদের কাছে ডাকটিকিট, সাবান ও সি ফুড বিক্রি করেই দিব্যি চলে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিওল থেকে ৪৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপ। প্রায় ২৩০০ মিটার উচু একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই দ্বীপের কাছে সমুদ্রের নীচে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপানের সঙ্গে এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিবাদ রয়েছে প্রায় ৩শ বছর ধরে। দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি লাইটহাউসও বানিয়েছে। জাপান এই দ্বীপটিকে তাকেশিমা বললেও কোরীয়রা বলেন ডোকডো দ্বীপ। বহির্বিশ্বের কাছে লিয়ানকোর্টস রক নামেও পরিচিত এই দ্বীপটি।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement