খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (ব্রি)। বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে। বাংলাদেশের ওপরের অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
Advertisement
রোববার এক সেমিনারে এসব জানান ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান কবির।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে ইরির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. হুমনাথ বান্ধরী। এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রি’র সাবেক ডিজি ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। এগ্রি-বায়োটেকনোলজি’র ওপর বক্তব্য রাখেন ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ ও এএফএস-এর ট্রেইনার প্যাট্রেশিয়া। তারা এগ্রি-বায়োটেকনোলজি নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন।
বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইসের অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থা তুলে ভিডিও প্রেজেন্টেশন করেন ব্রি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পার্থ সারথী বিশ্বাস। ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান কবির বলেন, বিজ্ঞানীরা শুধু বর্তমানের চিন্তা করে না। আগামীর চিন্তাই তারা বেশি করেন। যেমন বর্তমানে আমরা ৫০ বছর অর্থাৎ আগামী ২০৫০ সালে বাংলাদেশের লোকসংখ্যা কত হবে এবং তাদের খাদ্যের যোগান কেমন করে দেয়া হবে তা নিয়ে এখন থেকেই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
Advertisement
গোল্ডেন রাইস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস নতুন এক ধরনের ধান; যা মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। গোল্ডেন রাইস জেনেটিক্যালি মোডিফাইড (জিএম) ফসল হলেও খাদ্য হিসেবে একেবারেই নিরাপদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু করার কোনো চিন্তাও করা সম্ভব নয়।
এফএইচএস/এনএফ/আরআইপি
Advertisement