শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে পোশাক খাত। বেড়ে যাবে উৎপাদন খরচ। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় আরো পিছিয়ে পড়তে পারে পোশাক খাত। বৃহস্পতিবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দর কার্যকর হবে। এমন ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ অভিযোগ করে বলেছে, সংগঠনটির মতামতকে মূল্যায়ন করেনি সরকার। বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম জাগো নিউজকে বলেন, পোশাক খাতের উৎপাদন খরচ বিগত দিনে ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে যাবে। এতে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ব। রপ্তানির বড় খাত পোশাক শিল্পেরও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমবে।তিনি আরো বলেন, অনেক সময়ই আমাদের বিকল্প জ্বালানিতে জেনারেটর চালাতে হয়। কিন্তু সরকার তেলের দাম কমাচ্ছে না। অপরদিকে, বাড়ালো গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম।এই ব্যবসায়ী বলেন, আমরা গণশুনানিতে বলেছিলাম, ‘দাম বাড়ালে তা যেন সহনীয় মাত্রায় বাড়ানো হয়। কিন্তু আমাদের মূল্যায়ন বা দাবি বিবেচনা করা হয়নি। এটা দুঃখজনক। তাই, বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে। নতুন দর অনুযায়ী, গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়া সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বেড়েছে।এর আগে সর্বশেষ ২০০৯ সালের ১ অাগস্ট আওয়ামী নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় গ্যাসের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন সিএনজি ও ইটভাটা ছাড়া সব ধরনের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়।এসআই/একে/পিআর
Advertisement