বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই ব্যাংক কর্মকর্তা। এরা হলেন-এবি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখার ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম খান এবং ইস্টার্ন ব্যাংক মতিঝিল শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মতিউর রহমান।
Advertisement
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুবের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষ্য দিয়েছেন সাতজন।
এদিন মতিউর রহমানের সাক্ষ্য শেষ হলেও সাইফুল ইসলাম খানের হয়নি। সাইফুল ইসলামের জবানবন্দি শেষে আদালত আগামী ৪ মার্চ তার জেরা এবং অপর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। মওদুদের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ জুলাই ব্যারিস্টার মওদুদকে তার নিজের, স্ত্রীর ও পোষ্যদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এবং তার উৎস জানাতে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কারাগারে থাকাবস্থায় একই বছরের ২৩ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন মওদুদ।
দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার দাখিল করা হিসাব বিবরণীতে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করাসহ চার কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
Advertisement
একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৮ সালের ১৪ মে মওদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। গত ২০১৭ সালের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬।
জেএ/এমআরএম/পিআর